সিবিআই হানায় রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন মন্ত্রী ফিরহাদ

পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বুধবার হঠাৎ-ই বিশেষ সক্রিয় হয়ে ওঠে সিবিআই। সল্টলেকে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরে হানাও দিতে দেখা যায় সিবিআই আধিকারিকদের। সূত্রে খবর, জানা বুধবার একযোগে রাজ্যের মোট ১৪টি পুরসভায় পৌঁছন সিবিআই-এর একদল আধিকারিক।সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও।তবে এদিনের এই সিবিআই হানার রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিনের এই সিবিআই হানা নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, ‘পুরোটাই রাজনীতি।’ পাশাপাশি তিনি এও জানান, তিনি জানেন না কী উদ্দেশ্যে এ দিনের হানা। তবে ত্রাস তৈরির চেষ্টা চলছে বলে কটাক্ষ করেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ এও বলেন, ‘যে দোষ করেছে সে শাস্তি পাবে।’ একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘পুলিশ শেষ কথা বলবে নাকি মানুষ শেষ কথা বলবে। এটাই এখন আসল সমস্যা। আমরা যদি অন্যায় না করে থাকি তাহলে কে শাস্তি দেবে আমাদের! শিক্ষায় যেমন হয়েছে, সবাই অন্যায় করেছে, সবাই টাকা নিয়েছে ব্যাপারটা তো এমন নয়। যে দোষ করেছে সে শাস্তি পাবে। চুঁচুড়া পুরসভায় নিয়োগে অনিয়ম দেখেছিলাম। সেটা বাতিল করেছি। কোন পুরসভায় কী হয়েছে সেটা তো মন্ত্রীর জানার কথা নয়।’
প্রসঙ্গত, এর আগে খোদ ফিরহাদ হাকিম এও বলেছিলেন যে যদি পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতি হয় তাহলে তিনি তা খুঁজে বের করবেন। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মন্ত্রী এদিন বলেন, ‘নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তে আমরা একটা তদন্ত করছিলাম। ঠিক তদন্ত বলা ভুল,আমরা বিভিন্ন তথ্য খতিয়ে দেখছিলাম। এখনও পর্যন্ত আমার অসচ্ছতা লাগেনি।’
এদিকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পুরসভা নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য হাতে পায় ইডি। প্রমোটার অয়ন শীলের অফিস বাড়িতে অভিযান চালানোর সময় পুরসভা নিয়োগ সংক্রান্ত নথি পান ইডি কর্তারা। অভিযোগ পুরসভার বিভিন্নপদে নিয়োগের ক্ষেত্রে টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হয়েছে। কাঁচরাপাড়া, নিউ ব্যারাকপুর, কামারহাটি, টিটাগড়, বরাহনগর, টাকি, হালিশহর, দমদম, উত্তর দমদম-সহ প্রায় কুড়িটির বেশি পুরসভার নিয়োগে সরাসরি দুর্নীতির তথ্য পাওয়া যায় বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার। এছাড়া সব মিলিয়ে নজরে রাজ্যের ষাটটির বেশি পুরসভার নিয়োগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − fourteen =