বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের জন্য ভারতের একাদশ কেমন হতে পারে তা নিয়ে চলছে প্রবল কাঁটাছেড়া। ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা ৭ জুন, ম্যাচের দিন পর্যন্ত সাসপেন্স বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা নিজেদের মতো করে একাদশ বেছে নিচ্ছেন। চুপ রইলেন না মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকরও। দেশের ব্যাটিং লেজেন্ডের বিশ্বাস, কেনিংটন ওভালে খেলা যত গড়াবে স্পিনাররা ততই সুবিধে পাবে। এতে রোহিত শর্মাদের খুশি হওয়ার কথা যে তাঁরা ওভালে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেলার সুযোগ পাচ্ছে। রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাডেজার উপস্থিতি ভারতকে এগিয়ে রাখবে বলেই মনে করছেন সচিন। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে এই স্পিন-দ্বয়ী অজিদের নাকানি চোবানি খাইয়েছিল। ফাইনালেও একই চিত্র দেখা যাবে বলে ইঙ্গিত দিচ্ছেন সচিন। সচিন বলেছেন, “ভারতীয় দলের খুশি হওয়ার কথা কারণ ওরা ওভালে খেলছে। ওভালের পিচের যা চরিত্র তাতে ম্যাচ যত পুরনো হবে স্পিনারদের তত সুবিধে বাড়বে। স্পিনাররা এখানে ভালোই খেলবে। সবসময় পিচে টার্ন থাকবে তার কোনও মানে নেই। কারণ কখনও কখনও স্পিনাররা বাউন্সের উপর অনেক বেশি নির্ভর করে। তখনও ওরা বাতাসে বলকে কথা বলাবে। পিচের প্রয়োজন পড়বে না। সবমিলিয়ে বলা যায়, ওভাল ভারতের জন্য সুবিধের হতে চলেছে।” শেষবার ভারতীয় দল কেনিংটন ওভালে ১৫৭ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল জো রুটের ইংল্যান্ড টিমকে। সচিনের বিশ্বাস, হাইভোল্টেজ ফাইনালে এটাই ভারতকে আত্মবিশ্বাস জোগাবে। তিনি বলেছেন, “১০০ শতাংশ সাহায্য করবে। এগুলো এমন স্মৃতি যা তোমার সঙ্গে রয়ে যায়। ভারতীয় দল নিশ্চয় ভুলে যায়নি যে গতবার ওভালে তারা কেমন খেলেছিল।” অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার ওভালের স্মৃতি মোটেও সুখের নয়। শেষবার ২০১৯ সালে এই ভেনুতে অ্যাসেজের ম্যাচ খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। সে বার ইংল্যান্ডের কাছে ১৩৫ রানে হারতে হয় ক্যাঙারুদের। তবে অস্ট্রেলিয়া যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেবে এতে সন্দেহ নেই মাস্টার ব্লাস্টারের।