আইআইটি খড়গপুরের ছাত্রের মৃত্যু রহস্যে নয়া মোড়। মঙ্গলবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ অজয় গুপ্তের রিপোর্ট পেশ করা হয়। এই রপোর্ট বলা হয়েছে, ফাইজান আহমেদের মৃত্যু অসুস্থতা বা আত্মহত্যার কারণে হয়নি। তাঁকে খুন করা হয়েছে। এই রিপোর্ট আদলেত জমা পড়ার পরই কার্যত ফাইজানের বাবা-মা’র আশঙ্কাতেই সিলমোহর পড়ল। এই রিপোর্ট আদালতে জমা পড়ার পরই এদিন আদালতে বিচারপতি মান্থা জানান, ওই ছাত্রের মাথায় আঘাতের চিহ্নকে ময়না তদন্তের রিপোর্টে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাতেই নানা সন্দেহ দেখা দেয়। একইসঙ্গে বিচারপতি মান্থার সংযোজন, প্রথম ময়না তদন্তের রিপোর্টকেও প্রভাবিত করা হয়েছিল।বিচারপতি মান্থা এজলাসে আরও জানান, প্রবল রক্তক্ষরণের কারণে খড়গপুর আইআইটির ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়। তাঁর মাথায় এবং বুকে গভীর ক্ষত ছিল। এবার এই মামলায় ৩০২ ধারা যুক্ত করার সময় এসে গিয়েছে।এমনকী অভিযুক্তদের চিহ্নিত করারও সময় এসে গেছে।
তবে বিচারপতি মান্থা পাশাপাশি সরকারি কৌঁসুলিকে এও জানান, এখনই পর্যবেক্ষণে এসব লেখা হচ্ছে না। তবে আদালতের নির্দেশ, কেন্দ্রীয় ফরেনসিক ল্যাবরেটরি অধিকর্তাকে এক সপ্তাহের মধ্যে মৃতের ভিসেরা পরীক্ষা করে দিতে হবে। পরবর্তী শুনানিতে পুলিশকে কেস ডায়েরিও জমা দিতে হবে। এদিকে এদিন আদালত আইআইটি কর্তৃপক্ষের দিকেও আঙুল তোলে। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানান, ‘এই ঘটনায় আপনারাও আংশিক অভিযুক্ত। আপনাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।’
এদিকে আদালত সূত্রে খবর, শুনানির সময় এদিন ইঙ্গিত মেলে আগামী শুনানির পর সিবিআই নয়, রাজ্য পুলিশের দক্ষ আধিকারিকদের নিয়েই এই তদন্তের জন্য সিট গঠন করা হতে পারে।পাশাপাশি এ খবরও মিলেছে, শুক্রবার মামলার পরবর্তী শুনানি। তবে তার আগে বুধবারের মধ্যে তদন্তকারী আধিকারিককে সমস্ত রিপোর্ট সংগ্রহ করে আদালতে পেশ করতে বলা হয়েছে।