করমণ্ডল এক্সপ্রেসের এই ঘটনায় শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু বাসিন্দার জীবনে যে অভিষাপ নেমে এসেছে তাই শুধু নয়, অভিশাপ নেমে এসেছে হয়তো বাংলাদেশের বেশ কিছু নাগরিকের জীবনেও। কারণ, সূত্রে যে খবর মিলছে তাতে শুক্রবারের এই অভিশপ্ত ট্রেনে ছিলেন বাংলাদেশের বেশ কিছু নাগরিকও। কারণ, অনেকেই প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসেন চিকিৎসা করাতে। বিশেষত, ভেলোরে চিকিৎসা করাতে যান থাকে অনেকেই।সেই কারণেই তাঁরা এই শুক্রবারের এই অভিশপ্ত ট্রেনের সওয়ার হন।
এদিকে বাংলাদেশ হাইকমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ভারত সরকারের কাছে তালিকা চেয়েছে। সেই তালিকা না পাওয়া পর্যন্ত কিছু আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলতে পারছেন না তাঁরা। ফলে বাংলাদেশের ঠিক কতজন নাগরিক ছিলেন, তাঁদের মধ্যে কেউ হতাহত হয়েছেন কি না, সেই তথ্য এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে দুর্ঘটনা বিষয়ক তথ্য জানতে বাংলাদেশিদের জন্য একটি হটলাইন নম্বর +৯১৯০৩৮৩৫৩৫৩৩ দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ হাইকমিশনের তরফ থেকে। পাশাপাশি আধিকারিকরা এও জানিয়েছেন এই নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ করেও তথ্য জানতে পারবেন বাংলাদেশের বাসিন্দারা। সেই সঙ্গে তাঁরা রেল এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে। ওই ট্রেনে কোন বাংলাদেশি ছিল না কী না এবং তারা হতাহত হয়েছেন কী না তাও জানার চেষ্টা করছেন বাংলাদেশের হাইকমিশনের আধিকারিকরা।
এদিকে বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে কয়েকটি পরিবার শুক্রবার রাত থেকেই যোগাযোগ করেছেন। এদের মধ্যে দুজনের পরিবার জানাচ্ছে শুক্রবার দুপুরে তাঁদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় শেষবার। তারপর থেকে আর যোগাযোগ করতে পারছেন না। এই দুজন করমণ্ডল এক্সপ্রেসে ছিলেন। চেন্নাই যাচ্ছিলেন। একইসঙ্গে আরও দুজনের পরিবার জানাচ্ছে তাদের আত্মীয়রা ওড়িশার কোনও হাসপাতালে ভর্তি। আহত অবস্থায় অন্য কারও ফোন থেকে কথা বলে পরিবারকে এইটুকু জানাতে পেরেছেন তাঁরা।