শুক্রবার সন্ধেয় ওডিশাতে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পর মন্ত্রী মানস ভুঁইঞা ও তৃণমূল সাংসদ দোলা সেনকে ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছনোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেত্রীর নির্দেশ মতো কিছুক্ষণের মধ্যে বালেশ্বরের দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছন তাঁরা। এরপরই সচক্ষে দুর্ঘটনাস্থলের ভয়াবহতা দেখে সাময়িক বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন সবংয়ের বিধায়ক। ঘটনাস্থলে গিয়ে যা মানস ভুঁইঞার নজরে আসে সে সম্পর্কে তিনি জানান, ‘বীভৎস, ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। আমার জীবনে আগে কখনও এই জিনিস দেখিনি। নির্মম দৃশ্য, বলে বোঝাতে পারব না। যন্ত্রণায় আমার মনে পিষে গিয়েছে।’ সঙ্গে এও জানান, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আগেও কখনও এমন দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকেননি। পাশাপাশি এও জানান, ‘নির্মম, বীভৎস অবস্থা। কারও হাত ঝুলছে, পা ঝুলছে। কারও আবার মাথা থেঁতলে আছে। কী বলব, ওই দৃশ্য চোখে দেখা যায় না।’
পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে শুরু থেকেই উদ্ধারকাজে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, সে কথাও জানান মমতা মন্ত্রিসভার এই সদস্য। তিনি বলেন, ‘ সাংসদ দোলা সেন আমার সঙ্গে ছিলেন। মেদিনীপুর থেকে আমরা ৩১টি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে গিয়েছিলাম। অনেক চিকিৎসক সঙ্গে গিয়েছিলেন। এডিএম, মহকুমা শাসকসহ পুলিশ আধিকারিকরাও সঙ্গে ছিলেন। বালেশ্বরের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার খুবই সাহায্য করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারাও উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীও ওড়িশা সরকারের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখছিলেন। আমরাও মুখ্যমন্ত্রীকে প্রয়োজনীয় সব তথ্য ওখান থেকে পাঠিয়েছি। সারারাত আমরা ওখানেই ছিলাম। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি থাকার কারণে আমি কলকাতা ফিরে এসেছি ভোরবেলা।’
পাশাপাশি ঘটনাস্থলে ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেনও। তিনি বলেন, ‘জীবনে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা দেখিনি। কখনও শুনিওনি। তিনটি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ২০ থেকে ২৫টা বগি এদিক ওদিক চলে গিয়েছে। রেললাইন উঠে এসেছে। ট্রেনের বৈদ্যুতিক পোস্টও উপড়ে এসেছে ভয়াবহ অবস্থা। আশেপাশের বাসিন্দারাই প্রথম উদ্ধারকাজে হাতে লাগিয়েছে। ওডিশা সরকারে বিপর্যয় মোকাবিলা দলও দ্রুত পৌঁছেছিল। আমাদের রাজ্য সরকার ও মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরাও খুব দ্রুত সেখানে পৌঁছে যান।‘