বালেশ্বরের দুর্ঘটনায় আটকে থাকা যাত্রীদের আনতে হওড়া থেকে রওনা দিয়েছিল যে স্পেশ্যাল ট্রেন তা ১২০০ যাত্রীকে নিয়ে ইতিমধ্যেই ফিরে গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গ, বহু পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন ট্রেনে। এদিকে ট্রেন পৌঁছানোর আগেই হাওড়া স্টেশনে আগে থেকেই তৈরি ছিল মেডিকেল টিম। তৈরি ছিল অ্যাম্বুলেন্স। তৈরি হয়েছে অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প। সেখানেই তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর যাঁদের অবস্থা ভাল তাঁদের বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয় রেলের তরফ থেকে। যাঁদের অবস্থা গুরুতর তাঁদের পাঠানো হয় হাসপাতালে।
এদিকে একরাতেই যেন মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত বালেশ্বর। দেশলাই বাক্সের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে অভিশপ্ত করমণ্ডলের বহু কামরা। উদ্ধারকাজে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল অর্থাৎ এনডিআরএফ, সেনা। শেষ পাওয়া আপডেটে জানা যাচ্ছে এখনও পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে ২৬১ জনের মৃত দেহ। আহত ৯০০-র বেশি। সূত্রের খবর, বালেশ্বর হাসপাতালে আনা হয় আনুমানিক ৫৫০ রোগীকে। এর মধ্যে বালেশ্বর হাসপাতালে ৬০ জন আইসিইউয়ে চিকিৎসাধীন।
বেশিরভাগ রোগী বালেশ্বর হাসপাতালে অর্থোপেডিক, সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ৫০ জনকে কটক এসইবি মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে সূত্রে খবর। বেশ কিছু রোগী ভর্তি মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে। হাসপাতালে আনার পর মৃত্যু হয় চারজনের। ট্রেনে থাকা যাত্রীদের মধ্যে বহু মানুষ বাংলার বলেই জানা যাচ্ছে। এদিকে এখনও জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বগিগুলিতে কেউ এখনও আটকে রয়েছেন কিনা তার খোঁজ চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল।