ডিএলএড-এ ভর্তি নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিজ্ঞপ্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ। সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তিন দিনের মধ্যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করা হয়। বৃহস্পতিবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি। এরপরই বৃহস্পতিবার আগামী ৯ জুন পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে ডিএলএডে ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় অনলাইনে। কিন্ত যাঁরা অফলাইনে ভর্তি হয়েছিলেন তাঁদের রেজিস্ট্রেশন আটকে যায়। অর্থাৎ তাঁরা নন-রেজিস্ট্রার্ড হিসেবে গণ্য বিবেচিত হন। এরপরই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সেখানে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ ছিল, ডিএলএডের এই ৬০০টি কলেজ জানাবে তাদের উপস্থিতির হার কত। পাশাপাশি এই প্রসঙ্গে পর্ষদ এবং কলেজ কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে বৈঠক করার নির্দেশ দেওয়া হয়।প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশ মেনে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ বৈঠকও করে। এরপরেই পর্ষদ তড়িঘড়ি একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ৩১ মে থেকে ২ জুনের মধ্যে যাঁরা অফলাইনে ভর্তি হয়েছিলেন তাঁদের রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। তার জন্য প্রতি ছাত্র-ছাত্রীকে তিন হাজার টাকা করে দিতে বলা হয়।
এই নির্দেশেক চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করেন সুকান্ত গুড়িয়া নামে এক ছাত্র। তাঁর তরফ থেকে আদালতে প্রশ্ন রাখা হয়, এত কম সময়ের মধ্যে কেন ভর্তির কথা বলা হল তা নিয়ে। পাশাপাশি একবার অফলাইনে টাকা দিয়ে ভর্তি হওয়ার পরও কেন ফের টাকা দিতে হবে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।