বাঁশ দিয়ে পেটানোর নিদান দিয়ে ঘোর সমস্যায় তৃণমূল সাংসদ নুসরৎ জাহান। তাঁর এই নিদানেরে জেরে নোটিশ পাঠালেন বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। একইসঙ্গে বিজেপি নেত্রী এও জানিয়েছেন, ‘বাঁশ নিয়ে তাড়া করুন’ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে আইনি পদক্ষেপ করা হবে সাংসদের বিরুদ্ধে।’
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই বসিরহাটে সোলাদানা স্কুল মাঠে উপস্থিত হয়ে নুসরত জাহান বলেছিলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধী যেই দল ভোট চাওয়ার জন্য আসুক তাঁদের বাঁশ এবং কঞ্চি নিয়ে তাড়া করবেন। বাংলার জন্য তাঁরা কোনও কিছু করেনি। ২০২১ সালের নির্বাচনে ২০০টি নৌকা ডুবেছে। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে পুরো ডুববে।’ এরপরই নুসরতের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সরব হন বিরোধীরা।
এদিকে নুসরতের এই নিদান প্রসঙ্গে প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের আইনজীবী পৃথ্বীজয় দাশ বলেন, ‘২৩ মে নুসরত জাহান বলেছিলেন বিরোধীরা যদি ভোট চাইতে আসে সেক্ষেত্রে তাঁদের বাঁশ দিয়ে পেটাও। তিনি একজন সাংসদ। তাঁর কথার একটি গুরুত্ব রয়েছে। তাঁর মন্তব্যের পরের দিনই দেখা গিয়েছে ফলতা, ডায়মন্ড হারবারের তিনজন বিজেপি কর্মীকে বাঁশ দিয়ে পেটানো হল। তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি।’ এরই পাশাপাশি আইনজীবী পৃথ্বীজয় দাশ এও জানান, ‘নুসরত জাহানের এই মন্তব্যের বড় প্রভাব পড়ছে। আর সেই কথা মাথায় রেখেই প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল এই নোটিশ পাঠিয়েছেন। এই নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে যদি তিনি ক্ষমা না চান সেক্ষেত্রে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।’
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের গলাতেও একই সুর। জানান, ‘তিনি যা মন্তব্য করেছিলেন এর পরেই ডায়মণ্ড হারবারে অশান্তি হয়। তাঁকে তিন দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তিনি ক্ষমা না চান তাহলে আইনি পদক্ষেপ করব।’
এই প্রসঙ্গে রাজ্য শাসক দলের নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘এই সমস্ত চিঠি যদি তিনি দিলীপ ঘোষকেও দেন তাহলে ভালো হয়। কারণ বাঁশ কেটে রাখার নিদান প্রথম দিলীপ ঘোষ দিয়েছিলেন। ওঁদের নেতারাই এই ধরনের কথা বেশি বলে থাকেন। কাচের ঘরে থেকে অন্যের ঘরে ঢিল ছুড়ে লাভটা কী? এটা মিডিয়াতে ভেসে থাকার জন্য তিনি করেছেন বলে মনে করি।’