গড় শালবনিতে অভিষেকের কনভয়ের হামলার ঘটনায় মুখ খুললেন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। রাজ্যের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি এবং বর্তমানে বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, ‘তৃণমূলের অত্যাচার, শোষণে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে হামলা করছে। তাই চারিদিকে ‘চোর, চোর’ স্লোগান উঠছে।’ এরই পাশাপাশি শনিবার বিজেপি নেতা কটাক্ষের সুরে এও জানান, ’হাজার হাজার লোক পথের ধারে দাঁড়িয়ে ‘জয় বাংলা’ বলছেন। আর উনি জয় শ্রীরাম শুনতে পেলেন?’ এরই পাশাপাশি অভিষেককে বিদ্ধ করে দিলীপ বলেন, ‘আপনি তো নবজোয়ার কর্মসূচিতে বেরিয়েছেন। এত রাতে জঙ্গলে কেন ঘুরে বেড়াচ্ছেন? জঙ্গলমহলের মানুষ শান্তিপ্রিয়।‘
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিষেকের সভায় যোগ দিতে গোপীবল্লভপুরের দিকে যাচ্ছিলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা সহ তৃণমূলের অনেক নেতা কর্মী। ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তুলে কুড়মি আন্দোলনকারীরা তাদের উপর হামলা চালায় বলে তৃণমূলের অভিযোগ। এরই পাশাপাশি শুক্রবারে অভিষেকের কনভয়ের উপর আক্রমণের ঘটনায় দিলীপ ঘোষ এও বলেন, ‘আমি জানি গাড়ি ভাঙা পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরম্পরা। একাধিকবার আমার গাড়ি ভাঙা হয়েছে। কখনও তো দুঃখ প্রকাশ করতে দেখিনি তৃণমূলকে। কারণ তাদের লোকেরাই আমার গাড়ি ভাঙে।‘
এদিকে শুক্রবারের ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, ‘আমরা এই ধরনের লড়াই, হিংসায় বিশ্বাস করি না। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত। তৃণমূল কংগ্রেস নিজেরা অন্যায় করে অন্যের উপরে দোষ চাপায়। জাতিতে জাতিতে লড়াই লাগিয়ে দিচ্ছে। এটা ঠিক না।’ একইসঙ্গে সুকান্তর সংযোজন, ‘নবজোয়ার কর্মসূচি করে আর মানুষের মন জয় করতে পারবে না তৃণমূল। মানুষ এদের বিরুদ্ধে চলে গিয়েছে। তৃণমূলের সঙ্গে চোর আর পুলিশ ছাড়া কেউ নেই। একটি রাজনৈতিক দলের একজন নেতা দলীয় কর্মসূচিতে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় হাজার হাজার পুলিশ নিয়ে তিনদিন ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ কর্মীদের যাতায়াতের খরচ তো জনগণের করের টাকায় হচ্ছে।‘