আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হল ২০২৩ সালের পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষার ফলাফল। গত ৩০ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা আয়োজিত হয়েছিল। ২৬ দিনের মাথায়, শুক্রবার জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের তরফে ফল প্রকাশ করা হয়। সাংবাদিক বৈঠক করে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা। সাংবাদিক বৈঠক থেকে বোর্ড চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা জানান, এবার ১ লাখ ২৪ হাজার ৯১৯ জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এদের মধ্যে ৭৪ শতাংশ পুরুষ। একজন ট্রান্সজেন্ডার এবং বাকি মহিলা। এবারের জয়েন্টে ৯৯.৪ শতাংশ সফল পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ৭২ শতাংশই এই রাজ্যের। বাকি ২৮ শতাংশ রাজ্যের বাইরের। সাংবাদিক বৈঠকে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের তরফে পাশাপাশি এও জানানো হয়, সংখ্যার দিক থেকে ৯৬ হাজার ৯১৩ জন সফল হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫১ হাজার ৩৪৫ জন রাজ্যের বোর্ডের ছাত্রছাত্রী। বিকেল ৪টে থেকে ওয়েবসাইটে কত র্যাঙ্ক হয়েছে তা জানতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে বোর্ড চেয়ারম্যান এও জানান, এবার মোট ৩০৬ টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়েছিল। ৩০৩ কেন্দ্র ছিল বাংলায়। একটি অসম ও বাকি দুটি ত্রিপুরায়। দুটি পত্রে পরীক্ষা হয়। প্রথম পত্র অঙ্ক, দ্বিতীয় পত্র ফিজিক্স ও কেমিস্ট্রি। প্রথম পত্রে ৭৫টি ও দ্বিতীয় পত্রে ৮০ টি প্রশ্ন ছিল।
সঙ্গে এও জানান, ‘এবারের জয়েন্টের জন্য প্রথম রোমিং অবজার্ভারদের রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর দেওয়া হয়েছিল। সঙ্গে প্রত্যেক পরীক্ষাকেন্দ্রে হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করা হয়েছিল। এবার একটি অ্যাপও ব্যবহার করা হয়।
এরই সূত্র ধরে জয়েন্ট এন্ট্রাস বোর্ডের চেয়ারম্যান এও জানান, ‘এবার একটি অ্যাপও তৈরি করা হয়েছিল, যেটির মাধ্যমে সেন্টার ইনচার্জদের সঙ্গে রিয়াল টাইম যোগাযোগ রাখা সম্ভব হয়েছিল। ওএমআর শিট ও বুকলেটেও পরিবর্তন আনা হয়। তিনটি সর্বভারতীয় সংস্থার উপর আমরা কাউন্সিলিংয়ের জন্য নির্ভর করি। কাউন্সেলিং এবার কিছুটা সরলীকরণ করা হয়েছে। একটা পুস্তিকা আমরা বের করেছি। ছাত্র ছাত্রীদের কাছে পৌঁছে দেব সেই পুস্তিকা। এটা পড়লে কাউন্সেলিং অনেক সুবিধা হবে।’ সঙ্গে এও জানান, অন্যবারের মতো এবারও তিনটি ধাপে হবে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া। প্রথমে অ্যালটমেন্ট, তারপর আপগ্রেডেশন এবং সবশেষে মপ আপ রাউন্ড। এরপর এআইসিটিই অর্থাৎ কাউন্সেলিং অফ আর্কিটেকচার এবং ফার্মাসি কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে বিভিন্ন কলেজকে কাউন্সেলিংয়ের জন্য অনুমোদন দেওয়া হবে। রাজ্যে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আসন সংখ্যা প্রায় ৩৪ হাজার।
পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রাস বোর্ডের থেকে এও জানানো হয়, অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.wbjeeb.nic.in এবং www.wbjeeb.in-তে যেতে হবে পরীক্ষার্থীদের। তবে জয়েন্টের প্রথম দশে রাজ্যের বোর্ডের মাত্র ৩ জন। বাকি সাতজনের মধ্যে একজন আইসি এসই বোর্ডের এবং ৬ জন সিবিএসই বোর্ডের। জয়েন্টে প্রথম মহম্মদ সাহিল আখতার। জয়েন্টে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী সোহম দাস। রুবির দিল্লি পাবলিক স্কুলের পড়ুয়া।মেধাতালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছেন সারা মুখোপাধ্যায়। বাঁকুড়ার বান্দা বিদ্যালয়ের পড়ুয়া। চতুর্থ হয়েছেন মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের সৌহার্দ্য দণ্ডপাত। পঞ্চম স্থানে রয়েছেন অয়ন গোস্বামী। ষষ্ঠ স্থান অধিকার করে নিয়েছেন সোসপুর নারায়ণ স্কুলের অরিত্র অম্রুত দত্ত। সপ্তম হয়েছেন রাজস্থানের কোটা থেকে কিন্তন সাহা। অষ্টম হয়েছেন বাঁকুড়া জেলা স্কুলের সাগ্নিক নন্দী। নবম হয়েছেন রাজস্থানের কোটা থেকে রক্তিম কুণ্ডু। মেধাতালিকায় দশম স্থানে রয়েছেন কাটোয়ার হোলি অ্যাঞ্জেল স্কুলের শ্রীরাজ চন্দ্র।