ফের বেআইনি অস্ত্র ভাণ্ডারের হদিশ মিলল বিহারের বৈশালীতে। আর এই অস্ত্র ভাণ্ডারের হদিশ পেলেন কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। কলকাতা পুলিশের এসটিএফের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ইটভাটার আড়ালে চলছিল ওই কারখানাটি। আর কারখানা থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর অসমাপ্ত পিস্তল ও পিস্তলের যন্ত্রাংশ। ‘মুঙ্গেরি’ পিস্তল তৈরির অভিযোগে পাঁচজন মুঙ্গেরের মিস্ত্রিকে গ্রেপ্তারও করেছন এসএটিএফের আধিকারিকেরা। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন কারখানার মালিক রঞ্জনকুমার, তার কর্মী গুলশন সিং, মহম্মদ কামালউদ্দিন, মহম্মদ মুন্না, মহম্মদ পারভেজ।
এসটিএফ সূত্রে এও জানানো হয়েছে যে, বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ ও বিহারের এসটিএফ যৌথভাবে বিহারের বৈশালী জেলার কার্তাহান থানা এলাকার একটি ইটভাটায় হানা দেয়। আর তখনই নজরে আসে ইটভাটার আড়ালে তৈরি হচ্ছে মুঙ্গেরি ৭ এমএম পিস্তল। আর তা তৈরি হচ্ছিল লেদ মেশিনে। এরপরই ওই ইটভাটা থেকে মেলে দশটি অসমাপ্ত ৭ এমএম পিস্তল, ৪০টি পিস্তলের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, লেদ মেশিন, ড্রালিং মেশিন-সহ বিভিন্ন যন্ত্র। এসটিএফের আধিকারিকদের ধারনা, তাদের তৈরি ওই পিস্তলগুলি পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই রাজ্যের কয়েকটি জেলায় পাচারের ছক করা হয়। ধৃতদের জেরা করে পাচারকারীদের সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।