শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া হায়দরাবাদে, সঙ্গীকে খুন করে পাথর কাটার মেশিনে কাটল প্রেমিক

দিল্লির শ্রদ্ধা-কাণ্ডের ছায়া এবার হায়দরাবাদে। সঙ্গীকে খুন করে পাথর কাটার মেশিন দিয়ে দেহ টুকরো করে রেখেছিল হায়দরাবাদের এক ব্যক্তি। তারপরে শহরের নানা প্রান্তে সেই মৃতদেহের টুকরো ছড়িয়ে দেয় সে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে তল্লাশির পরে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে জেরা করে জানা গিয়েছে, সঙ্গীর থেকে ৭ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিল ওই ব্যক্তি। সেই টাকা ফেরত দিতে না চেয়েই সঙ্গীকে খুন করে সে। মৃতার নাম অনুরাধা রেড্ডি (৫৫)। অভিযুক্তর নাম চন্দ্র মোহন (৪৮)।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১২ মে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে অনুরাধাকে খুন করে অভিযুক্ত। খুনের পর চন্দ্র দুটি পাথর কাটার মেশিন কিনে আনে। তা দিয়েই মৃতদেহটি টুকরো করে রাখে। সময় বুঝে শহরের নানা প্রান্তে সেই টুকরোগুলি ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। সেই মতোই অনুরাধার মাথা-সহ বেশ কয়েকটি টুকরো নানা জায়গায় ছড়িয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, মৃতদেহের টুকরো ফেলার পর সেখানে ফিনাইল, ডেটল, সুগন্ধি ঢেলে দিত। দেহাংশ পচে গিয়ে যেন দুর্গন্ধ না বেরোয়, সেজন্যই এই পন্থা। কিন্তু অনুরাধার ফোন থেকে তাঁর পরিচিতদের সঙ্গে যোগাযোগও রেখেছিল সে।

দিনকয়েক আগে আবর্জনার স্তুপে অজ্ঞাতপরিচয় এক মহিলার মাথা দেখতে পান এক সাফাই কর্মী। কালো কাপড়ে মোড়া ওই মাথা দেখতে পেয়েই পুলিশে জানান তিনি। আট সদস্যের বিশেষ দল গড়ে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে হায়দরাবাদ পুলিশ। এক সপ্তাহ ধরে তল্লাশির পরে চন্দ্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেরার পরে জানা গিয়েছে, খুনের তিনদিন পর থেকে দেহাংশ নানা জায়গায় ছড়াতে শুরু করে সে। যদিও এখনও অনুরাধার দেহাংশের সন্ধান পায়নি পুলিশ।

শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করে দীর্ঘদিন বাড়িতে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখার পর সেগুলি জঙ্গলে ফেলে দিয়েছিল আফতাব। বর্তমানে সে জেলবন্দি। ফের সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটল হায়দরাবাদের অনুরাধা রেড্ডির সঙ্গে। শ্রদ্ধার মতোই অনুরাধাকে ছুরি দিয়ে খুন করার পর পাথর কাটার মেশিন দিয়ে দেহ টুকরো-টুকরো করে প্রথমে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখা এবং পরে কাটা মুণ্ড স্যুটকেশে ভরে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর লিভ-ইন পার্টনারের বিরুদ্ধে। পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত নিজেই ঘটনার কথা স্বীকার করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − 8 =