নীলরতন সরকারে ছারপোকা-আরশোলার দাপটে ঘুম ছুটেছে সদ্যোজাতদের পরিবারের

নীলরতন সরকার হাসপাতালে রীতিমতো বিপন্ন অবস্থা সদ্যোজাতদের। কারণ, পোকামাকড়ের সঙ্গে সহবাস। ৮-১০ দিনের শিশুদের নরম চামড়ায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ছারপোকা, আরশোলা। শরীরে দেখা যাচ্ছে ঘা। হাসপাতালের সেন্টেনারি বিল্ডিংয়ে অবস্থিত এস‌এনসিইউ, নিকু, পিকু বিভাগে ছারপোকা, আরশোলার উপদ্রবে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে কচিকাঁচাদের। এনআরএস সূত্রে খবর, পোকামাকড় মারার জন্য বরাতপ্রাপ্ত সংস্থা দায়িত্ব পালন না করায় এই অবস্থা।
এমন ঘটনায় শিশুদের অভিভাবকেরা জানাচ্ছেন, পোকার কামড়ে সদ্যোজাতদের দেহে ঘা দেখা যাচ্ছে। কারও কারও শরীরে লাল রঙের চাকা দাগ। কানে পোকা ঢুকে যেতে পারে, এমন আশঙ্কাও করছেন অভিভাবকেরা। এই অভিযোগ যে শুধু মাত্র শিশুদের অভিভাবকরা করছেন তাই নয়, একই অভিযোগ শোনা যাচ্ছে নার্সদের গলাতেও। তাঁদের অভিযোগ, তাঁদের পোশাক বদল করার ঘরেও একই অবস্থা। পাশাপাশি নার্সরা এও জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।
এদিকে এন‌আর‌এসে আরশোলা-ছারপোকার দাপট এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে এ নিয়ে সরব হন স্বয়ং তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন‌। আরশোলার স্পর্শে এক রোগীর পিঠে ঘা হয়ে গিয়েছিল। বৈঠকে সেই ছবি দেখিয়ে রোগী পরিষেবার এমন হাল কেন, তাও জানতে চান তৃণমূল সাংসদ। এরপর‌ও বদলায়নি পরিস্থিতি।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ তথা রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান শান্তনু সেন বলেন, ‘এই বিষয়টা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা হয়েছে। কীভাবে পেস্ট কন্ট্রোল করানো হবে, তা নিয়ে কথা হয়েছে। কিছু কিছু পুরনো ম্যাট্রেস রয়েছে, যার ভিতর থেকে পোকা হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে অবগত আছে, তারা পদক্ষেপও করছে।’ তবে আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন হাসাপাতালে থাকা শিশুদের পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের একটাই চিন্তা, পোকামাকড় থেকে বড় কোনও সমস্যা না হবে কি না তা নিয়েই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − 6 =