লখনউকে হারিয়ে আকাশছোঁয়া মুম্বই কোয়ালিফায়ারে গুজরাতের মুখোমুখি

আকাশকে কেন খেলাচ্ছে না মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, এই নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন উঠেছে। সুযোগ পাওয়ার পর থেকে যোগ্যতা প্রমাণ করে চলেছেন। এলিমিনেটর ম্যাচে রং বদলে দিলেন এই পেসার। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জয়ের মূল কারিগর। আকাশের বাড়ি রুরকি। ঋষভ পন্থের প্রতিবেশী। দীর্ঘ সময় মুম্বই শিবিরে থাকলেও এ বছরই তাঁকে স্কোয়াডে নেয় মুম্বই। কেরিয়ারের সপ্তম আইপিএল ম্যাচেই প্লে-অফের সেরা বোলিং ফিগার। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স গত মরসুমের ব্যর্থতা ভুলে ফাইনালে যাবে কিনা সময়ই বলবে। তবে আকাশের পারফরম্যান্স প্রশংসনীয়। পাওয়ার প্লে-তে মাত্র এক ওভার বোলিং করেন। লখনউয়ের ওপেনার প্রেরক মানকড়কে ফিরিয়ে বড় ধাক্কা দিয়েছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় স্পেল আরও ভয়ঙ্কর। একই ওভারে পরপর ফেরান আয়ুষ বাদোনি এবং নিকোলাস পুরানকে। সেখান থেকেই ক্রমশ খেই হারাতে থাকে লখনউ। আকাশের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স, তিনটি রান আউট, ৮১ রানের বড় ব্যবধানে জয় মুম্বইয়ের। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে গুজরাট টাইটান্সের মুখোমুখি হবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক রোহিত শর্মা। চিপকের পিচে রান তাড়া করা কতটা কঠিন আগের দিনই গুজরাট টাইটান্স বনাম সিএসকে ম্যাচে দেখা গিয়েছে। লখনউয়ের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত অবাক করার মতো। কুইন্টন ডি’কককে সাবস্টিউটেও রাখল না লখনউ শিবির! মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে বোলিং ওপেন করেন অধিনায়ক ক্রুনাল পান্ডিয়া। অন্য দিকে, কৃষ্ণাপ্পা গৌতম। চতুর্থ ওভারে পেসারকে আক্রমণে আনতেই মুম্বইয়ের ওপেনিং জুটি ভাঙে। পাওয়ার প্লে-তে দুই ওপেনারকে হারিয়ে সাময়িক চাপে পড়ে মুম্বই। তবে ক্যামেরন গ্রিন ও সূর্যকুমার জুটি ভরসা দেয়। ৩৮ বলে ৬৬ রান যোগ করে এই জুটি। দুই তরুণ ব্যাটার তিলক ভার্মা (২২ বলে ২৬) ও ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামা নেহাল ওয়াদেরা (১২ বলে ২৩ রান) দুর্দান্ত অবদান রাখেন। লখনউকে ১৮৩ রানের বড় লক্ষ্য দেয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। রান তাড়া করতে নেমে লখনউয়ের মূল বিপর্যয় শুরু দশম ওভারে। আকাশ মাধওয়াল নিজের স্পেলের দ্বিতীয় ওভারে আসেন। মাত্র ১ রান দেন। চতুর্থ ও পঞ্চম বলে ফেরান আয়ুষ বাদোনি, নিকোলাস পুরানকে। উল্টোদিকে স্টইনিস থাকলেও সঙ্গীর অভাবে পড়েন। আকাশ এখানেই থেমে থাকেননি। সব মিলিয়ে ৩.৩ বলে মাত্র ৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট। আইপিএলের প্লে-অফে এটিই সেরা বোলিং ফিগার। লখনউ ইনিংসে তিনটি রান আউট এবং আকাশের পাঁচ উইকেট। মাত্র ১০১ রানেই অলআউট লখনউ সুপার জায়ান্টস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − eight =