ফের যেন তৈরি হচ্ছে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের বাতাবরণ। এবার বিতর্কের কেন্দ্রে অবশ্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ। সূত্রে খবর, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে গত ১৮ মে রাজীব সিনহার নাম প্রস্তাব করা হয় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। এরপরই এই প্রস্তাব পাঠানো হয় রাজভবনে। কারণ, রাজ্যের মুখ্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে রাজীব সিনহার। এরপরও কেটে গেছে পাঁচ-পাঁচটি দিন। কিন্তু সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ১৮ মে রাজীব সিনহার বিষয়ে প্রস্তাব রাজভবনে পাঠানোর পর এখনও পর্যন্ত সেই প্রস্তাবে সম্মতি মেলেনি রাজভবনের তরফ থেকে। কেন রাজীব সিনহার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রাজ্যপাল সি বি আনন্দ বোসের তরফ থেকে।
উল্লেখ্য, রাজ্যের বর্তমান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন সৌরভ দাস। তবে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ ফুরিয়ে এসেছে। আগামী ২৯ মে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সৌরভ দাসের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। প্রসঙ্গত, সৌরভ দাসের কার্যকালের মেয়াদ আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। ৩১ মার্চ তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দুই মাসের জন্য তা বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী, সৌরভ দাসের কার্যকালের মেয়াদ আর বাড়ানো সম্ভব নয়। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, ২৯ মে বর্তমান নির্বাচন কমিশনারের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ফাইলে সই অর্থাৎ সম্মতি আদৌ মিলবে কি না রাজ্যপালের থেকে তা নিয়েই। এদিকে রাজ্য সরকার চাইছে, আপাতত রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রাজীব সিনহাকে নিযুক্ত করতে।
এমন অবস্থায় তাই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে চাইছে রাজ্য সরকার। আর এখানেই অনেকে সিঁদুরে মেঘ রাজ্য রাজভবন সংঘাতের। কারণ, ৩১ মে-র মধ্যে রাজ্যপালের তরফ থেকে সম্মতি আসা জরুরি। আর তা না হলে নতুন করে সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় অবশ্যাম্ভাবী।