কেন বারবার তাঁকে ডেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরা করা হচ্ছে, এই মর্মে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে দেখা গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে বর্ষীয়ান আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভিকে। সোমবার দেশের শীর্ষ আদালতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে অভিষেক মনু সিংভি-র আর্জি, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে যাতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআই কড়া পদক্ষেপ না করে। আর এই ব্যাপারে সুরক্ষা কবচের আর্জিও জানান অভিষেক মনু সিংভি। একইসঙ্গে এদিন আদালতে তিনি তৃণমূল সাংসদের গ্রেপ্তারের আশঙ্কাও প্রকাশ করেন। তবে অভিষেকের এই আর্জি খারিজ করে দেয় বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি সঞ্জয় কারোলের বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত, তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য সামনে এনে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি জানান, অভিষেককে বারবার তলব করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরার নামে হেনস্থা করা হচ্ছে। প্রতিবার নয় ঘণ্টা করে জেরা করা হচ্ছে।
এখানে বলে রাখা শ্রেয়, কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতে যাওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত শনিবার নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার আগেই সিবিআইকে দেওয়া একটি চিঠিতে এ কথা জানান তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক।
এ দিন আদালতে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি শুনানি করতে গিয়ে জানান, ‘সিবিআই কোনও রকম সময় না দিয়েই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করছে।’ পাশাপাশি উল্লেখ করেন আগের বারও যখন অভিষেককে তলব করা হয়েছিল তখন তিনি দার্জিলিংয়ে ছিলেন। ফলে তড়িঘড়ি চলে আসতে বাধ্য হন। এরপরও গত শনিবার একই ঘটনা ঘটে। অভিষেককে যখন সিবিআইয়ের তরফ থেকে তলব করা হয়, তখন তিনি ‘নব জোয়ার কর্মসূচির’ জন্য বাঁকুড়ায় ছিলেন। সেই কর্মসূচি ফেলেই একপ্রকার কলকাতায় ফিরে আসতে হয় হাজিরা দেওয়ার জন্য।
এই প্রসঙ্গেই এদিন তৃণমূল নেতার আইনজীবী এও আশঙ্কা প্রকাশ করেন, তাঁর মক্কেলকে ফের তলব করা হতে পারে। বার-বার তলব করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরার নামে হেনস্থা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ জানান তিনি। একই সঙ্গে ২৫ লক্ষ টাকার জরিমানার বিষয়টিও আদালতে উল্লেখ করেন আইনজীবী মনু সিংভি। কেন এই জরিমানা করা হল সেই বিষয়টিও জানতে চান তিনি।
এদিকে আদালত সূত্রে খবর, সোমবার এজলাসে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফে উপস্থিত এস ভি রাজু পরবর্তী শুনানির দিন জিজ্ঞাসা করেন। তখনই জানা যায়, আগামী শুক্রবার এই মামলার শুনানি হবে। শুধু তাই নয়, মামলাটির সঙ্গ যাঁরা যুক্ত রয়েছেন তাঁদের সকলকে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি সঞ্জয় কারোলের বেঞ্চ।