ধর্মশালায় গত ম্যাচটিও রুদ্ধশ্বাস শেষ হয়েছিল। আরও একটা রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ দেখা গেল। গ্রুপ পর্ব শেষের দিকে। এখন প্রতিটা ম্যাচই নকআউট। প্রথমে ব্যাট করে রাজস্থান রয়্যালসকে ১৮৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল পঞ্জাব কিংস। কখনও মনে হয়েছে পঞ্জাব অ্যাডভান্টেজে। বিশেষ করে দেবদত্ত পাডিকাল ও যশস্বী ফেরার পর। যদিও সিমরন হেটমায়ারের অনবদ্য ইনিংস এবং রিয়ান পরাগের ক্যামিও তখনও বাকি। রাজস্থানের কাছে জয়ের পাশাপাশি নজর ছিল নেট রানরেটে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে ছাপিয়ে যাওয়ার। আরসিবির একটা ম্যাচ এখনও বাকি। সুতরাং রাজস্থান জিতলেও প্লে-অফের অনেক জটিল অঙ্ক তাদের সামনে। হেটমায়ারের দুর্দান্ত ইনিংসের ইতি হয় ধাওয়ানের অভাবনীয় ক্যাচে। শেষ ওভারে রাজস্থানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৯ রান। শেষ অবধি ২ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে জয় রাজস্থানের৷ গত ম্যাচ হেরে রাস্তা কঠিন করেছিল পঞ্জাব কিংস। ধর্মশালা স্টেডিয়ামে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে জয়ের কাছ থেকে ফিরেছিল পঞ্জাব কিংস। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে টস হেরে চাপে পড়ে পঞ্জাব। সুইংয়ের কন্ডিশনে প্রথমে ব্যাট করা যথেষ্ঠ সমস্যার। পঞ্জাবকে ব্যাটিংয়েরই আমন্ত্রণ জানায় রাজস্থান। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই দুর্দান্ত ক্যাচে প্রভসিমরন সিংকে ফেরান ট্রেন্ট বোল্ট। নিজের বোলিংয়েই ডানদিকে ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ। অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান এই ম্যাচেও ভরসা দিতে পারলেন না। সপ্তম ওভারে লিয়াম লিভিংস্টোন ফিরতেই ম্যাচ থেকে ক্রমশ হারিয়ে যায় পঞ্জাব কিংস। শেষ অবধি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৭ রান করে পঞ্জাব। রাজস্থান রয়্যালসকে শুরুতেই ধাক্কা দেন কাগিসো রাবাডা। জস বাটলারকে ফেরান তিনি। দেবদত্ত পাডিকাল এবং তরুণ বাঁ হাতি ওপেনার যশস্বী জয়সওয়ালের অর্ধশতরানে ভিত মজবুত হয় রাজস্থানের। এই দু-জন ফিরতে সাময়িক চাপে পড়ে তারা। শেষ তিন ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩২ রান। নো-বলে ১৮তম ওভার শুরু হয় রাবাডার। স্বস্তি রাজস্থান শিবিরে। তবে ১৯তম ওভারে সিমরন হেটমায়ার ফিরতে ফের একবার চাপে পড়ে রাজস্থান। জিতে আশা রইল রাজস্থানের। পঞ্জাবের বিদায়।