এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডে মৃত্যু হল মূল অভিযুক্ত ভানু বাগের। মঙ্গলবার বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর আহত অবস্থায় বাইকে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছিল ভানু, এমনটাই স্থানীয় সূত্রেও খবর। ওড়িশার কটকের একটি হাসাপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। তবে তার দেহের ৭০ শতাংশ পুড়ে যায়। এরপর সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল। বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে আহত হয় মালিক ভানু বাগ। পুলিশের গ্রেপ্তারি এড়াতে গুরুতর জখম অবস্থায় বাইকে চেপে সেখান থেকে ওড়িশার উদ্দেশে রওনা দেয় সে। কটকে রুদ্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল ভানু। বাসাপাতালের চিকিৎসাকরোই জানান তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। কারণ, তাঁর শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। অবস্থার উন্নতি হলে তাঁকে ভবানী ভবনে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা ছিল সিআইডির। তবে ভানু বাগের মৃত্যুতে তদন্ত বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে বলেই মনে করছেন রাজ্য গোয়েন্দা দপ্তরের আধিকারিকেরা।
এগরা বিস্ফোরণের পর তদন্তে নেমে ভানু ও তাঁর পরিবারের দুই সদস্যের বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করে সিআইডি। এর আগেও ভানু বাগের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুন, বিস্ফোরকের অবহেলামূলক আচরণ সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু হলেও বিস্ফোরক আইনে প্রথমবার মামলা হয়। তবে ভানুর মৃত্যুর পর সিআইডি তদন্ত এখন কোন দিকে যায় সেদিকেও নজর সকলের।
আপাতত সূত্রে যা খবর, মঙ্গলবার এগরার বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতার কারণে বেআইনি বাজি কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের দেহ ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে বাইরে ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণস্থলের ছবি দেখে বৃহস্পতিবার উষ্মা প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। বিস্ফোরণের ঘটনায় সিআইডিকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।