কী কারণে চাকরি খোয়ালেন ববিতা, আর তা পেলেন অনামিকা!

একটি চাকরি নিয়ে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি থেকে আদালত। একের পর এক মামলা। একটি পদের জন্য প্রথমে চকির খোয়ালেন মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী। এরপর সেই চাকরি পান ববিতা সরকার। এক বছরের মধ্যে সেখানেও ধরা পড়ল ত্রুটি। অবশেষে সেই চাকরি পেলেন অনামিকা রায়।
ববিতার চাকরি যআওযার পিছনে যে কারণ উঠে আসছে তা হল তাঁর অ্যাকাডেমিক স্কোর কম ছিল। ফলে সব দিক বিবেচনা করে ববিতার চাকরি বাতিল করার জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এই প্রসঙ্গে অনামিকা রায় জানান, অ্যাকাডেমিক স্কোরে তিনি ২১-এ ছিলেন। ববিতা ছিলেন ২০-তে। অঙ্কিতা চলে আসায় এক এক করে র্যাঙ্ক পিছিয়ে যায়। তখন ববিতা সরকারের হয়ে যায় ২১ আর অনামিকার হয় ২২। অঙ্কিতা অধিকারী চলে যাওয়ার পর সামনে আসে নতুন করে র্যাঙ্কের ছবিটা। এদিকে আবার ববিতার চাকরি পাওয়ার পর ওর প্রাপ্ত নম্বরের একটি র্যাঙ্ক ভাইরাল হয়। সেখানে অনামিকার নজরে আসে ববিতার স্কোর তাঁর থেকে ২ নম্বর কম। ববিতার স্নাতকের প্রাপ্ত নম্বর যেখানে ৫৫ শতাংশ হয় সেই জায়গায় দেখি ৬০ শতাংশের বেশি। তবে ৬০ শতাংশ হওয়ার দরুন উনি ২ নম্বর বেশি পান। আদতে সেটা ৬০ শতাংশ নয়, ৫৫ শতাংশ হয়। ফলে ২ নম্বর কমে যায়। ফলে সেই জায়গায় চাকরি পাওয়ার কথা অনামিকারই।এরপৎই এই নিয়ে মামলা করেন অনামিকা।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ চার বছরের অপেক্ষার পর চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা সরকার। রাজ্যের মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি বাতিল হওয়ার পর সেই জায়গায় চাকরি পান তিনি। তবে তা বেশিদিন স্থায়ী হল না। ববিতার অ্যাকাডেমিক স্কোর কমের অভিযোগ তুলে যে মামলা করেছিলেন আর এক চাকরি প্রার্থী অনামিকা রায় মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এরপরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয় ববিতার। তাঁর জায়গায় চাকরি পেলেন অনামিকা রায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − 8 =