শুভমনের সেঞ্চুরি, হায়দরাবাদকে হারিয়ে প্রথম প্লে-অফে গেল গুজরাট টাইটান্স

প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করল গুজরাট টাইটান্স। টুর্নামেন্টের অন্যতম ধারাবাহিক দল। গত ম্যাচে হার একটা সতর্কবার্তা দিয়েছিল যেন। প্লে-অফ কার্যত নিশ্চিতই ছিল। অপেক্ষা ছিল সরকারি ভাবে প্লে-অফে যাওয়ার। এ দিন সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৩৪ রানে হারিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করল গুজরাট টাইটান্স। শুধু তাই নয়, শীর্ষে দুইয়ে থাকাও নিশ্চিত তাদের। ১৩ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট হল হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন গুজরাট টাইটান্সের। এই জয়ের বড় কৃতিত্ব প্রাপ্য তরুণ ওপেনার শুভমন গিলের। আইপিএল কেরিয়ারে এর আগে দু-বার ৯০-র ঘর অবধি পৌঁছেছেন। অপেক্ষা ছিল সেঞ্চুরির। অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণ। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে এল কেরিয়ারের প্রথম আইপিএল সেঞ্চুরি। তাঁর সেঞ্চুরির সৌজন্যেই বোর্ডে বড় রান তোলে গুজরাট টাইটান্স। পাওয়ার প্লে-তেই মহম্মদ সামির তিন উইকেট গুজরাটের রাস্তা মসৃণ করল। টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। ইনিংসের তৃতীয় বলেই ঋদ্ধিমান সাহার উইকেট মার্করামের সিদ্ধান্তকে ঠিক প্রমাণ করতে যাচ্ছিল। যদিও ম্যাচের রং বদলে দেন দুই তরুণ ব্যাটার। তিনে নামা সাই সুদর্শনকে নিয়ে ১৪৭ রান যোগ করেন শুভমন গিল। এরপর অবশ্য খেই হারায় টাইটান্স। শুভমন গিল একদিক আগলে রাখলেও উল্টোদিক থেকে নিয়মিত উইকেট পড়তে থাকে। ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হন শতরানকারী শুভমন। ৫৮ বলে ১০১ রানের অনবদ্য ইনিংস। ১৩টি বাউন্ডারি এবং মাত্র ১টি ওভার বাউন্ডারি মারেন তিনি। ক্লাসিক শটেই শতরানের অনবদ্য একটা ইনিংস। শেষ ওভারে চার উইকেট হারায় গুজরাট টাইটান্স। ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান করে টাইটান্স। সানরাইজার্সের অভিজ্ঞ পেসার ভুবনেশ্বর কুমার ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন। এ বারের আইপিএলে এর আগে মার্ক উড ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। রান তাড়ায় সামির আগুনে বোলিংয়ের সামনে শুরুতেই চাপে পড়ে সানরাইজার্স। স্লিপে ক্যাচ ফেলেন রাহুল তেওয়াটিয়া। তবে সেটা খুব বেশি প্রভাব ফেলেনি। প্রথম ওভারেই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার অনমোলপ্রীত সিংকে ফেরান সামি। নিজের দ্বিতীয় ওভারে রাহুল ত্রিপাঠী এবং তৃতীয় ওভারে প্রতিপক্ষ অধিনায়ক এইডেন মার্করামের উইকেট নেন সামি। পাওয়ার প্লের মধ্যেই ৩ ওভারের স্পেলে ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট সামির। পাওয়ার প্লে শেষ হতেই সপ্তম ওভারে জোড়া উইকেট নেন মোহিত শর্মা। মাত্র ৫৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা সানরাইজার্সের হয়ে লড়াই চালিয়ে যান হেনরিখ ক্লাসেন। তাঁর সৌজন্যে শেষ চার ওভারে ২৪ রানের লক্ষ্যটাও সম্ভব মনে হচ্ছিল। তবে ১৭ তম ওভারে স্পেলের শেষ ওভারে ক্লাসেনকে ফিরিয়ে টাইটান্সের বাধা দূর করেন সামি। ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন সামি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − 8 =