দিন দুয়েক আগেই জানিয়েছিলেন কোনও বিরোধী জোটে নেই তিনি। সেই ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক কর্নাটকে বিজেপির হারের পরে নাম না করে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না বিজেপিকে। ঝাড়সুগুড়ায় উপনির্বাচনে দলের প্রার্থীর জয়ের পরে বলেন, সিঙ্গল কিংবা ডাবল ইঞ্জিন সরকার কোনও ব্যাপার নয়। সুশাসনই শুধুমাত্র একটি দলকে জয়ী করতে সাহায্য করে। এখানে বলে রাখা শ্রেয়, কর্নাটকে বিজেপির প্রাপ্তি কংগ্রেসের অর্ধেকেরও কম। আর এই প্রেক্ষিতে বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতারা বিজেপির প্রতি তীব্র আক্রমণ শানান। উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব বলেন, কর্নাটকে বিজেপির নেতিবাচক, সাম্প্রদায়িক, দুর্নীতিগ্রস্ত, বিভাজনকারী. মিথ্যা প্রচারের রাজনীতির শেষের শুরু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি নাম না করে বলেন, অহংকারী, খারাপ আচরণ, এজেন্সি রাজনীতির অবসানের শুরু হয়েছে। তিনি বলেছেন, কর্নাটকে ‘নো ভোট টু বিজেপি’র জয় হয়েছে। তিনি বিজেপি বিরুদ্ধে বিরোধীদের একজোট হওয়ার আহ্বান জানান। একথা বলেন। সাধারণভাবে বিজেপি কোনও রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের সময় ডাবল ইঞ্জিন সরকার গঠনের ডাক দিয়ে থাকে। কর্নাটকেও তারই ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং অমিত শাহরা। ওড়িশাতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সেখানেই বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিজেপি ডাবল ইঞ্জিন সরকার তৈরির ডাক দিয়েছিল কিন্তু সারা পর্যুদস্ত হয়। তবে মুখ্যমন্ত্রী এই মন্তব্যের দিন দুয়েক আগে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে বৈঠকের পর নবীন পট্টনায়েক বিরোধী জোটে যোগ দিচ্ছেন, সেই জল্পনা তীব্র হয়। কিন্তু নবীন পট্টনায়েক জানিয়ে দেন, তিনি মোদি বিরোধী জোটে নেই। আর তা নিয়ে তৈরি হয় জল্পনা। প্রশ্ন ওঠে তাঁর অবস্থান নিয়ে। তবে তিনি জানান, তাঁর দল রাজ্যে এককভাবেই লড়াই করবে।