কর্নাটক নির্বাচনে খুঁজেই পাওয়া গেল না আপকে। কংগ্রেস বিজেপির দ্বিগুণের বেশি আসন পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। আর বিজেপি রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। তৃতীয় স্থানে জেডিএস। তবে পঞ্জাবে সরকারে এসে সাড়া সাগানো আপ উধাও কর্নাটকে। নির্বাচন কমিশনের সূত্র অনুসারে, আপ কর্নাটকের ২২৪ টি আসনের মধ্যে ২০৯ টি আনে প্রার্থী দিয়েছিল। কিন্তু ফলাফলে চূড়ান্ত ব্যর্থ তারা। জাতীয় দলের মর্যাদা পাওয়া আপ কর্নাটকে নোটার থেকেও কম ভোট পেয়েছে। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কর্নাটকে নোটায় ভোট পড়েছে ০.৬৯ শতাংশ। সেখানে আপ পেয়েছে মাত্র ০.৫৯ শতাংশ ভোট।
এখানে বলে রাখা শ্রেয়, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ কর্নাটকে জয়ী হলে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, ঋণ মকুব, বিনামূল্যে জল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তারপরেও কোনও কেন্দ্রেই আপ তাদের জমানতও বাঁচাতে পারেনি। এর থেকে এটাই স্পষ্ট যে, কর্নাটকের মানুষ আপকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। সব মিলিয়ে আপ ২ লক্ষ ২৫ হাজার ভোট পেয়েছে কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে। আপ কর্নাটকে ২২৪ টি আসনের মধ্যে ২০৯ টি আসনে প্রার্থী দিলেও অন্তত ১৫ টি আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা আশা করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। উল্লেখ করা প্রয়োজন এর আগে গুজরাত নির্বাচনে আপ ১২.৮৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। তবে আম আদমি পার্টির জমানত জব্দ হওয়াটা নতুন কিছু নয়। ২০২২-এর গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে আপের ১৮১ জন প্রার্থীর মধ্যে ১২৮ জনের জমানত জব্দ হয়। গত বছর হওয়া উত্তর প্রদেশ বিধানসভ নির্বাচনেও বেশিরভাগ আপ প্রার্থীর জমানত জব্দ হয়।