‘মোচা’র জেরে ঘোর সংকটে মায়ানমার।আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, রবিবার দুপুরে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়েই মায়ানমার উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে মোচা। ল্যান্ডফলের সময় ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ২৩০ কিলোমিটার। শনিবার দুপুরেও পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে ‘মোচা’। বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে যার দূরত্ব ৬৩০ কিলোমিটার। আর মায়ানমারের সিতওয়ে থেকে দূরত্ব ৫৫০ কিলোমিটার। এদিকে আবাহওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, ‘মোচা’র জেরে সাগরে ঘণ্টায় ২৩০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইছে।
প্রবল গতি নিয়ে মোচা ধেয়ে এলেও ল্যান্ডফলের সময় সামান্য কিছুটা শক্তি হারাবে বলেই জানাচ্ছে মৌসম ভবন। তবে তাতেও ‘মোচা’র গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৫০ কিমির উপরেই। এ রাজ্যের উপকূল থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে থাকবে ‘মোচা’। ফলে এ রাজ্যে এর খুব একটা প্রভাব পড়বে না বলেই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে মৌসম ভবনের তরফ থেকে। তবে বাংলাদেশে লাগোয়া সমুদ্র উপকূলে ঝড়ের গতিবেগ থাকবে প্রতি ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিমি। আর সেই কারণেই আগামী ১৪ তারিখ পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে।
তবে এই সিস্টেম থেকে মেঘ ঘনীভূত হচ্ছে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার আকাশে তা জানিয়েছে মৌসম ভবন। তবে রবিবার পর্যন্ত আবহাওয়ায় খুব একটা বদল আসবে না বলেও জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে এও জানানো হয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে শনিবার হালকা বৃষ্টি হতে পারে। ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই পূর্বাভাস আবহাওয়া অফিসের। তবে সোমবার থেকে ফের তাপমাত্রা বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। অন্তত ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম,বর্ধমান, বীরভূমে সোমবার ও মঙ্গলবার রয়েছে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা।