রামনবমী তদন্ত নিয়ে আরও তৎপর এনআইএ। শিবপুর, রিষড়া ও ডালখোলার অশান্তির ঘটনায় ৬ টি মামলা দায়ের করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যার মধ্যে পাঁচটি হাওড়া ও রিষড়ায় রামনবমীতে হিংসার ঘটনায় করা আর একটি ডালখোলার। প্রসঙ্গত, কলকাতার হাইকোর্টের নির্দেশে আগেই এই ঘটনার তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছিল এনআইএ-এর ওপর। এদিকে সূত্রে খবর, ঘটনায় অভিযুক্তদের নিজেদের হেপাজতে নিতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
প্রসঙ্গত, ৩০ মার্চ, রামনবমীর মিছিলকে ঘিরে ২ পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে হাওড়ার শিবপুর থানা এলাকার জিটি রোড এলাকা পুলিশের গাড়ি, বাস, টোটো-অটো-বাইকে ভাঙচুর করে, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশকে লক্ষ করে ছোড়া হয় ইট-পাটকেল। সেদিনই উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলাতে রামনবমীর মিছিল ঘিরে অশান্তি বাধে। থানার সামনে রাখা গাড়ি ও বাইকে ভাঙচুর চালানো হয়। কয়েকটি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এর ঠিক ২ দিন পর, ২ এপ্রিল হুগলির রিষড়ায় রাম নবমীর মিছিল ঘিরে ফের অশান্তি বাধে। ভাঙচুর, ইটবৃষ্টি, আগুন কিছুই বাদ যায়নি! পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয় হাওড়ায় এবং হুগলির বিভিন্ন এলাকায়। ঘটনাস্থলে যান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। অশান্তির দিনেই হাওড়ায় যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই ঘটনার নেপথ্যে রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি কাজ করছে বলেই দাবি করেন তিনি। যদিও পুলিশ শুভেন্দুকে শিবপুরে ঢুকতে দেয়নি। হাওড়ায় দাঁড়িয়েই ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবি জানান শুভেন্দু। এরপরই হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলার শুনানি চলাকালীন গত ২৭ এপ্রিল ঘটনার এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয় তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয় এনআইএর হাতে সমস্ত নথি হস্তান্তরের জন্য। এরপর বৃহস্পতিবার ৬ টি মামলা দায়ের করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।