১০০ দিনের বকেয়া বেতন ও স্থায়ীকরণের দাবিতে শহিদ মিনারে পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেতমজুর সমিতি সহ বাকি মামলাকারী সংগঠনগুলি শহিদ মিনার চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি দিল না সেনা। কলকাতা হাইকোর্টে বুধবার সেনার তরফে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ ছিল, সেনা চাইলে পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেতমজুর সমিতি সহ বাকি মামলাকারী সংগঠনগুলি শহিদ মিনার চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শনে বসতে পারে।
এই সংগঠনগুলি লাগাতার ১২ দিন অবস্থান-বিক্ষোভ কর্মসূচির জন্য অনুমতি চেয়েছিল। তাদের দাবি ছিল, দীর্ঘ ১৬ মাস তাঁদের বেতন বন্ধ। শুধু তাই নয়, চাকরিতেও স্থায়ীকরণের ক্ষেত্রে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। এই ইস্যুতে অবস্থান বিক্ষোভ করতে চেয়ে এর আগে পুলিশের কাছে অবস্থানের অনুমতি চান তাঁরা। তবে সেই আবেদন খারিজ করা হয় কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে। এরপরই সংগঠনগুলির তরফে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। এরপরই মঙ্গলবার হাইকোর্টের তরফ থেকে জানানো হয়, সেনা যদি অনুমতি দেয় তাহলে কর্মসূচি করতে পারবে সংগঠনগুলি। প্রসঙ্গত, এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের সঙ্গে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ক্ষেতমজুর সমিতি ও অন্যান্য সংগঠনগুলিকে অবস্থানে বসার ক্ষেত্রেও বেশ কিছু শর্তও বেঁধে দেন। পাশাপাশি এও বলেছিলেন, সেনাবাহিনী অনুমতি দিলে তবেই অবস্থানে বসতে পারবেন মামলাকারীরা। আদালত এবং পুলিশের দেওয়া শর্ত মেনে করতে হবে আন্দোলন। শর্ত না মানলে পুলিশ পদক্ষেপ করতে পারবে। কিন্তু এদিন সেনার তরফে শহিদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচিতে আপত্তির কথা জানিয়ে দেওয়া হয় আদালতে। ফলে, ক্ষেতমজুর সমিতির এই বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে তৈরি হল এক নয়া জট।
উল্লেখ্য, প্রথমে যখন আন্দোলনকারীরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, সেই সময় তাঁদের দাবি ছিল কলকাতা পুরনিগমের পাশেই অবস্থানে বসার অনুমতি দেওয়া হোক। শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে চেয়েছিলেন তাঁরা। যদিও পুরনিগমের পাশে অবস্থানে বসার অনুমতি সেই সময় দেয়নি আদালত।