কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে এখন প্রতিটি ম্যাচই নকআউট। হারানোর কিছু নেই। জিতলে প্লে-অফের সম্ভাবনা থাকবে। ঘরের মাঠে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে নেমেছিল নাইট রাইডার্স। ঘরের মাঠ হলেও এখানেই বরং পারফরম্যান্স আরও খারাপ। যদিও এ দিন স্পিনারদের সৌজন্যে কেকেআরের কাছে দারুণ সুযোগ ছিল জেতার। কিছুটা চাপ হয়েছিল কেকেআরের বোলিংয়ের শেষ ওভারে। হর্ষিত রানার ওই ওভারে ২১ রান আসে। শাহরুখ খান-হরপ্রীত ব্রারের মধ্যে মাত্র ১৬ বলে ৪০ রানের জুটি হয়। শেষ অবধি কেকেআরের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৮০ রান। শেষ ওভারে নাটক। শেষ অবধি পাঁচ উইকেটের জয় কলকাতার। রান তাড়ায় প্রত্যাশিত ভাবেই কেকেআরের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামলেন জেসন রয়। ওপেনিংয়ে গুরবাজের সঙ্গে তিনিই। জুটি ভালোই এগচ্ছিল। পঞ্জাবের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নাথান এলিসের ইয়র্কারে জুটি ভাঙে। লেগ বিফোর আউট হন গুরবাজ। তিন নম্বরে নামার কথা ছিল ভেঙ্কটেশ আইয়ারের। যদিও ফিল্ডিংয়ে চোট পাওয়ায় প্রায় তিন ওভারের মতো মাঠে ছিলেন না ভেঙ্কি। তিনে নামেন কেকেআর অধিনায়ক নীতীশ রানা। সেই সিদ্ধান্ত কাজে লাগল। রয়ের সঙ্গে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান। রয় ২৪ বলে ৩৮ রানে ফেরেন। অধিনায়ক রানা অর্ধশতরান করেন। ৩৭ বলে হাফসেঞ্চুরির পরের বলেই সুইচ হিট মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট রানা। ভেঙ্কি চারে নামলেও স্বচ্ছন্দ দেখায়নি। দৌঁড়তে সমস্যায় পড়ছিলেন। মাত্র ১৩ বলে ১১ রান করেন। আন্দ্রে রাসেল এবং রিঙ্কু সিং ক্রিজে থাকায় লক্ষ্যটা ক্রমশ ছোট মনে হচ্ছিল। মাত্র ২২ বলে ৫০ রানের বিধ্বংসী জুটি গড়েন রিঙ্কু সিং ও আন্দ্রে রাসেল। এর মধ্যে বেশির ভাগ রান এসেছে রাসেলের ব্যাটে। ১৯তম ওভারে স্যাম কারানের বোলিংয়ে ২০ রান আসে। তিনটি বিশাল ছক্কা মারেন রাসেল। শেষ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৬ রান। রিঙ্কুর ১০ বলে ২১ রানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্নায়ুর চাপ সামলে শেষ বলে বাউন্ডারি। আবারও কলকাতার জয়ের নায়ক হয়ে উঠলেন।