জয়পুরে মুখোমুখি হয়েছিল রাজস্থান রয়্য়ালস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। কখনও মনে হয়েছে ম্যাচ রাজস্থানের হাতের মুঠোয়। কিন্তু অভিষেক শর্মার অর্ধশতরান এবং বেশ কয়েকটি ক্যামিও ইনিংসে ম্যাচের রং বদলে গেল। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেটও নিতে থাকে রাজস্থান। জয়পুরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সামনে ২১৫ রানের বিশাল লক্ষ্য। যুজবেন্দ্র চাহালের অনবদ্য বোলিংয়ে বেশ কয়েক বার ম্যাচে ফিরেছে রাজস্থান। ২০ ওভার শেষে সব বৃথা। শেষ ওভারে সানরাইজার্সের লক্ষ্য ছিল ১৭ রান। অভিজ্ঞ সন্দীপ শর্মার ওপর ভরসা করা যায় এই রান নিয়েও। কিন্তু তিনিই একটি নো-বল করলেন। শেষ বলে সানরাইজার্সের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪ রান। আব্দুল সামাদ ৬ মেরে ফিনিশ করেন। মূল্যবান ২ পয়েন্ট সানরাইজার্সের ঝুলিতে। আইপিএলে শুরুটা ভালো হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস ওপেনার জস বাটলারের। মাঝে ফর্ম হারিয়েছিলেন। দুর্দান্ত ভাবেই কামব্যাক করলেন বাটলার। টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল রাজস্থান। শুরু থেকেই বাটলার-যশস্বী ঝড়। ওপেনিং জুটি ভালো শুরু দেয়। অল্পের জন্য শতরান হাতছাড়া হয় জস বাটলারের। ৯৫ রানে ফেরেন জস। অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনও বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ২১৪ রান করে রাজস্থান রয়্যালস। আইপিএলের ইতিহাসে এর আগে কখনও ২০০-র বেশি স্কোর তাড়া করে জেতেনি সানরাইজার্স। ফলে রাজস্থানের কাছে এই পরিসংখ্য়ান যেন সোনায় সোহাগা ছিল। কিন্তু এর নাম ক্রিকেট৷ বিশেষ করে আইপিএল৷ সব পরিসংখ্যান এবং পরিস্থিতি হাতের মধ্যে থাকলেও৷ শেষ বলে ম্যাচ হাত থেকে বেরিয়ে গেল রাজস্থানের৷ হায়দরাবাদ জিতল ৪ উইকেটে৷