ক্যাচ মিস, ম্যাচ মিস। আরও এক বার প্রমাণিত। প্রথমে ব্যাট করে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ১৮২ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়েছিল রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। দিল্লি ব্যাটিংয়ের যা হাল, তাতে এই রান অনেক বড় বলাই যায়। এই ম্যাচের আগে তিন ইনিংসে দিল্লির ওপেনিং জুটির অবদান ছিল ০,০,১। এ দিন ওপেনিং জুটিতে উঠল ৬০ রান। ডেভিড ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু দেন জশ হ্যাজলউড। কিন্তু ক্যাচ মিসই বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়াল আরসিবি শিবিরে। ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গার বোলিংয়ে উইকেটের পেছনে ফিল সল্টের ক্যাচ ফেলেন দীনেশ কার্তিক। সল্ট সে সময় ১৭ রানে ছিলেন। তিনিই ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেললেন দিল্লির হয়ে। চিন্নাস্বামীতে হেরেছিল দিল্লি। বিরাট কোহলির ‘ঘরের মাঠে’ বদলা নিল দিল্লি ক্যাপিটালস। ২০২১-র পর আরসিবিকে হারাল দিল্লি। ৭ উইকেটের বড় জয়ে নেট রানরেটও বাড়িয়ে নিল। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি। এ মরসুমে আরসিবি ব্যাটিং মানেই টপ থ্রি। এরপর আর ভরসা দেওয়ার কাউকে পাওয়া যাচ্ছিল না। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধেও দুর্দান্ত শুরু আরসিবি ওপেনিং জুটির। অবশেষে একাদশ ওভারে জুটি ভাঙল। পরপর বলে ডুপ্লেসি এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে ফেরান মিচেল মার্শ। ফাফ ডুপ্লেসি ৩২ বলে ৪৫ রান করেন। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল গোল্ডেন ডাক। জোড়া ধাক্কা সামলে উঠেছিল আরসিবি। সৌজন্যে বিরাট কোহলি। তবে তাঁর স্ট্রাইকরেট যেন স্বস্তি দিল না। ৪৬ বলে ৫৫ রানে ফেরেন বিরাট। প্রথম ব্যাটার হিসেবে আইপিএলে ৭ হাজার রানের মাইলফলক পেরনোর নজির গড়েন বিরাট। আরসিবি একাদশে ভরসা দিলেন তরুণ ব্য়াটার মহীপাল লোমরোর। মাত্র ২৯ বলে ৫৪ রানের অপরাজিত ইনিংস। আইপিএলে তাঁর প্রথম হাফসেঞ্চুরি। দলে সদ্য যোগ দেওয়া কেদার যাদব একাদশে থাকলেও নামার প্রয়োজন হল না। শেষ অবধি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রানের বড় স্কোর গড়ে আরসিবি। ওপেনিং জুটি ভালো হওয়ায় চাপ কমে দিল্লির। ফিল সল্টের ক্যাচ মিস করেছিলেন দীনেশ কার্তিক। ফিল্ডিংও খারাপ হয়েছে আরসিবির। তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে ফিল সল্টের ইনিংস। মাত্র ৪৫ বলে ৮৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। এ বারের আইপিএলে দ্বিতীয় অর্ধশতরান। আরসিবির বিরুদ্ধে ৮টি বাউন্ডারি এবং আধডজন ওভার বাউন্ডারি মারেন সল্ট। আইপিএলে এটিই তাঁর সর্বাধিক স্কোর। ২০ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটের বড় জয়ে দিল্লির ‘দাদাগিরি’।