বনদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই লক্ষাধিক টাকার গাছ কাটার অভিযোগ উঠল হুগলির গোঘাটের হাজিপুর এলাকায়। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, বিনা টেন্ডারে পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্যের মদতে বেআইনিভাবে গাছ কাটা হয়। এই ঘটনায় হইচই পড়ে যায় এলাকা জুড়ে। জানা গিয়েছে, হাজিপুর এলাকায় অবৈধভাবে পঞ্চায়েতের গাছ কেটে ফেলার খবর পেয়ে গোঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং কাঠ বোঝাই ট্রাক্টর আটক করে নিয়ে আসে। এই ঘটনায় সরাসরি স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোঘাটের হাজিপুর এলাকার ক্যানেলের দুই ধারে মূল্যবান গাছ কাটা হয়। একদিকে টেন্ডার ছাড়া যেমন গাছ কাটা হয় তেমনি বনদপ্তরে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বনদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে গাছ কাটার কোনও অনুমোদন দেওয়া হয়নি। টেন্ডার ছাড়াই কিভাবে গাছ কাটা হল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। পঞ্চায়েত সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, পঞ্চায়েতের জেনারেল মিটিং হয়। সেখানে পঞ্চায়েত প্রধান-সহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই আলোচনায় ঠিক হয় যেসব গাছগুলো বিপজ্জনক অবস্থায় আছে সেগুলো কেটে ফেলা হবে। সেই মোতাবেক এদিন গাছগুলো কাটা হচ্ছিল। টেন্ডার ডেকে গাছ কাটা হচ্ছিল কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি পঞ্চায়েত প্রধান জানেন। পঞ্চায়েত প্রধান সুলেখা ঘোষ বলেন, নিয়ম মেনে গাছগুলো কাটা হচ্ছে। পঞ্চায়েতের ডাটপুর এলাকার কিছু গাছ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থায় ছিল। সেগুলো কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা শেখ মাসুমুদ্দিন বলেন, এদিন সকালে দেখি ক্যানেল পাড়ের গাছগুলো কাটা হচ্ছে। ট্রাক্টর এসে সেই গাছ নিয়ে যাচ্ছিল। একজন পঞ্চায়েত সদস্য ঘটনাস্থলে ছিল। টেন্ডার ডেকে গাছ কাটা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এরপরেই আমরা ট্রাক্টর আটকে দিই। প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়। গোঘাট -২ ব্লকের বিডিও দেবাশিস মণ্ডল বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে হাজিরপুর পঞ্চায়েত থেকে কিছু জানানো হয়নি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। অপরদিকে এই বিষয়ে আরামবাগ ফরেস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আধিকারিক আসরাফুল ইসলাম জানান, বনদপ্তরের কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। তাই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সবমিলিয়ে এখন দেখার প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে গাছ কাটা বন্ধ করতে প্রশাসন কি পদক্ষেপ নেয়।