ডিএলএড-এর ভুয়ো শংসাপত্র তৈরিতে এখনও সক্রিয় দালাল-চক্র। গত তিনদিনে এমন ৪ জন চাকরি প্রার্থীকে ভুয়ো শংসাপত্র সহ হাতেনাতে ধরেছে পর্ষদ। পুলিশের হাতে তুলেও দেওয়া হয়েছে। আর তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই মেলে বিস্ফোরক তথ্য। গ্যাঁটের টাকা খরচা করলেই মিলছে সার্টিফিকেট। সেখানে পড়াশুনা তো দূর-অস্ত, কলেজে যাওয়ারও কোনও প্রয়োজন নেই। মোটা টাকা দিলেই হাতে হাতে মিলবে ডিএলএডের সার্টিফিকেট। আর সেই শংসাপত্র দেখিয়েই প্রাথমিক চাকরির পরীক্ষায় বসতে পারবেন চাকরি প্রার্থীরা। নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে যখন একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি জেলে, তখনও রমরমিয়ে চলছে এমন ব্যবসা।
সূত্রে খবর এমন কোনও দালাল ট্কেরর কাছে গিয়ে শুধু মুখ ফুটে নাকি বলতে হবে ,‘একটা ডিএলএডের সার্টিফিকেট চাই।’ এরপর ৪০ হাজার টাকা দিলেই মিলবে সার্টিফিকেট।সবথেকে বড় ঘটনা হল, এর জন্য কোথাও ছোটাছুটি করারও দরকার নেই। প্রয়োজনে হোম ডেলিভারিতেও মেলে এই ধরনের শংসাপত্র।
এই প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার জানান, ‘জাল সার্টিফিকেট কীভাবে আসছে, তার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।’ পাশাপাশি তাঁর পরামর্শ, ‘এই শংসাপত্র দ্ওযার ক্ষেত্রে একটা নির্দিষ্ট ব্যবস্থা হোক। সরকারি বা বেসরকারি দুটো ক্ষেত্রেই ভর্তি থেকে সার্টিফিকেট প্রদান একটাই সিস্টেমের মধ্যে হলে সমস্যা সমাধান হতে পারে।’ আর এই প্রসঙ্গেই ফের উঠে আসছেনিয়োগ দুর্নীতিতে গোয়েন্দাদের নজরে থাকা বিভাস অধিকারীর নাম। কারণ এক সময় অল বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাচিভার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন তিনি।