শুরু হল রাজ্যের মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া

শুরু হল রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিতে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের তরফ থেকে ১৭২৯টি শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে বলে সূত্রে খবর। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, রাজ্যের বেসরকারি ও সাহায্যপ্রাপ্ত মাদ্রাসাগুলিতে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ স্তরে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হবে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুকরা ১২ মে বিকেল চারটে থেকে অনলাইনে আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন। আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া চলবে ১২ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত। তবে, উল্লিখিত শূন্যপদের সংখ্যা সম্ভাব্য বলে জানিয়ে দেওয়াও হয়েছে এই বিজ্ঞপ্তিতে।
প্রসঙ্গত, গত ৬ মার্চ মাদ্রাসার ১৭২৯টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছিল রাজ্যের মন্ত্রিসভা। তবে সেগুলিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর আগে নিয়োগ বিধিতে কিছু বদলের প্রয়োজন ছিল। এরপর সেই কাজ সম্পূর্ণ করে গত ১৯ এপ্রিল মাদ্রাসা শিক্ষক নিয়োগের নয়া বিধি কলকাতা গেজেটে বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করে সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষাদপ্তর।
এদিকে নিয়োগ সংক্রান্ত ২০১০ সালের বিধি অবলুপ্ত করে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন রিক্রুটমেন্ট (সিলেকশন অ্যান্ড রেকমেন্ডেশন অফ পার্সনস ফর অ্যাপয়েন্টমেন্ট অ্যান্ড ট্রান্সফার টু দ্য পোস্টস অফ টিচিং অ্যান্ড নন-টিচিং স্টাফ) রুলস, ২০২৩’ নামে নতুন বিধি চালু করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের তরফে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় তাতে বলা হয়েছে, এই বিধি ও এনসিটিই গাইডলাইন মেনেই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য ২০২৩ সালের সপ্তম স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্ট এবং টেট পরিচালনা করা হবে। 
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র কামাল হোসেন জানান, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার মাদ্রাসা শিক্ষক নিয়োগের উপর যে গেজেট -বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, তার ছয় নম্বর অধ্যায়ে স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগে শিক্ষক নিয়োগের জন‌্য যে ৯০ নম্বরের মেন পরীক্ষা হবে, তার আগে পরিস্থিতি বুঝে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হবে। যদি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হয়ে যায়, তাহলে প্রিলিমিনারি টেস্ট নেওয়া হবে।  প্রিলিমিনারি টেস্ট যে হচ্ছে, তা একেবারে নিশ্চিত। কারণ, যেহেতু এখানে সমস্ত সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরা অংশগ্রহণ করতে পারবে, তার জন্য পরীক্ষার্থীর সংখ্যা পাঁচ থেকে দশ লক্ষ হতে চলেছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 2 =