বন দপ্তরের নিয়োগ দুর্নীতিতে কোনও অর্ডার কপি পাননি বলে জানালেন তৎকালীন বনমন্ত্রী রাজীব

শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। চাকরি বাতিল, মাইনে ফেরত থেকে নেতা-মন্ত্রী গ্রেপ্তারের মতো অনেক ঘটনাই ঘটেছে। এরই মাঝে বন সহায়কের পদে অনিয়মের অভিযোগে নয়া নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। নির্দেশ বলা হয়েছে,আগামী দু মাসের মধ্যে নিয়ম মেনে নতুন ভাবে ইন্টারভিউ করতে হবে। সেই তালিকা প্রকাশ করতে হবে ওয়েবসাইটে। আদালতের নির্দেশে, নিয়ম মোতাবেক নতুন নিয়োগের পর, যাঁরা যোগ্যদের তালিকায় ঠাঁই পাবেন তাঁদের চাকরি থাকবে। বাকিদের চাকরি বাতিল হতে পারে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টেবর মাসে বন সহায়ক পদে নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ হয়। দু’হাজার শূন্যপদ ছিল সে সময়। বন সহায়ক পদের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল অষ্টম শ্রেণি পাশ। চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগে মাসিক ভাতা ঠিক ১০হাজার টাকা। নিয়োগ হয়। সহায়করা মূলত ফরেস্ট গার্ডদের মতোই বনসুরক্ষার কাজ করবেন। কারণ, রাজ্যের বিভিন্ন বনাঞ্চল ও সেখানে থাকা বন্যপ্রাণীদের সুরক্ষার জন্য বহু কর্মী প্রয়োজন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই বন দফতরে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। ফলে সেই সময় বন সহায়ক পদে প্রায় দু’হাজার অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলেন বনকর্তারাও।
এই কাজের জন্য কয়েক লাখ আবেদন জমা পড়ে বলে সূত্রে খবর। এদিকে বন দফতর সূত্রে খবর, এই আবেদন করেছিলেন বহু পিএইচডি, এমএ, এমএসসি, বি-টেক করা যুবকরাও। তবে বিরোধী শিবির থেকে অভিযোগ ওঠে, কিছু লোককে সুবিধা পাইয়ে দিতে বেআইনিভাবে এই নিয়োগ হচ্ছে। মেসেজ করে চাকরির খবর জানানো হয়। এই সময় রাজ্যের বনমন্ত্রী ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই প্রসঙ্গে তৎকালীন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, ‘আমি অর্ডার কপি এখনও হাতে পাইনি, পড়েও দেখিনি। আইনজীবীর মারফৎ বিষয়টি শুনেছি। ফলে তা নিয়ে এখনই কিছু বলতে পারব না। মহামান্য আদালত যা নির্দেশ দিয়েছে তা অবশ্যই মানতে হবে।’
উল্লেখ্য, শাসকদলের উপর অভিমান করে বিজেপিতে যান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিতে যোগ দেওযার পরই তাৎপর্যপূর্ণভাবে রাজীবের সময় কিছু নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty + 17 =