কালিয়াগঞ্জে যুবকের মৃত্যু পুলিশের গুলিতেই, আদালতে জানাল রাজ্য

কালিয়াগঞ্জে মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের গুলিতেই যে মৃত্যু হয়েছে তা স্বীকার করে নিল রাজ্য। পাশাপাশি রাজ্যের তরফ থেকে এও জানানো হয় যে, পুলিশকে আক্রমণ করা হলে জীবন বাঁচাতে পুলিশ গুলি চালিয়েছিল সেদিন। তবে সেই গুলিতেই মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের মৃত্যু হয়েছে কি না, তা এখনও তদন্ত সাপেক্ষ বলে দাবি রাজ্যের। সিআইডি তদন্তের মধ্যেই বিচারবিভাগীয় তদন্ত হবে বলে নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা অর্থাৎ ম্যাজিস্ট্রেট অনুসন্ধান চলবে। তবে এখনই দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। সিআইডি যে তদন্ত করছে, সেই তদন্তই আপাতত চলবে বলে জানায় আদালত।
নাবালিকার মৃত্যুর প্রতিবাদে কয়েকদিন আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কালিয়াগঞ্জ। সেই আবহেই মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। পুলিশের গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ উঠেছে তাঁর পরিবারের তরফে। গোলমালের ঘটনায় পুলিশ মৃতের একজন আত্মীয়কে গ্রেপ্তার করতেই মাঝ রাতে গিয়েছিল বলে সূত্রে খবর। সেই সময়ই গুলিবিদ্ধ হন মৃত্যুঞ্জয়।
এদিনের শুনানি চলাকালীন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি আদালতে দাবি করেন, এই ঘটনায় পুলিশ আধিকারিক মোয়াজ্জম হোসেন জখম হন। এখানে উঠে আসে খিদিরপুরের ডি সি বিনোদ মেহেতার খুনের পরিকল্পনাও। তাঁকে যে ভাবে চক্রব্যুহ বানিয়ে খুন করা হয়েছিল, এখানেও সেইভাবেই পুলিশ আধিকারিককে ফাঁদে ফেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ জানান তিনি। আইনজীবীর দাবি, তখন পুলিশ প্রাণ বাঁচাতে গুলি করে।
এদিকে গত ২৮ এপ্রিল পুলিশ সুপারকে মৃত্যুঞ্জয়ের পরিবারের তরফ থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল, কালিয়াগঞ্জ থানার ওপর তাঁদের ভরসা নেই। পরের দিনই সিআইডি তদন্তভার নেয়। তার দুদিনের মধ্যে তদন্ত সরানোর দাবির জানিয়ে হাইকোর্টে কেন মামলা হল, তা নিয়েও প্রশ্নও তোলা হয় রাজ্যের তরফ থেকে। এদিকে পরিবারের দাবি, রাজ্যের তদন্তে কোনও ভরসা নেই। এ ব্যাপারে আদালতে অভিযোগও জানানো হয়। এই ঘটনারই রেশ ধরে পুলিশের তরফ থেকে এও জানানো হয় যে, ৫৩ জনকে ধরলেও বলা হচ্ছে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের দেহের দ্বিতীয় ময়না তদন্তের আবেদন জানানো হলেও, তা খারিজ হয়ে যায়। ১২ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × two =