পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইঞার মৃত্যুতে এবার আদালতের দ্বারস্থ হল পরিবার। সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মঙ্গলবার আবেদন করা হয় পরিবার তরফে। মৃত বিজেপির বুথ সভাপতির পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, তাঁকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে। অর্থাৎ, মৃত্যুর ঘটনা স্বাভাবিক নয় বলেই দাবি পরিবারের। ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রেও সরকারি হাসপাতালের ওপর ভরসা করতে পারছে না পরিবার। আর এই দাবিতেই মঙ্গলবার মামলা দায়ের হয়। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় মামলার শুনানি হবে বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার বেঞ্চে। পরিবারের তরফ থেকে আদালতে দাবি করা হয়, রাজ্য পরিচালিত হাসপাতালে ময়না তদন্তের রিপোর্টে তাঁদের কোনও বিশ্বাস নেই। বরং, এই ময়না তদন্ত হোক কমান্ড হাসপাতাল বা কেন্দ্রীয় কোনও হাসপাতালে। পাশাপাশি মঙ্গলবারই শুনানির আর্জি জানানোও হয়। তবে বিচারপতি মান্থা বলেন, ‘পুলিশকে একটা রিপোর্ট তৈরি করতে সময় দেওয়া হোক।’ সে কারণেই এই শুনানি হবে বুধবার সকালে।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাকচা এলাকা।
এদিকে ময়নায় বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে শাসকদলের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয় বঙ্গ বিজেপির তরফ থেকে। পাশাপাশি বঙ্গ বিজেপির তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে যে, সঞ্জয় তাঁতি নামে আর এক বিজেপি কর্মীর কোনও খোঁজ নেই।
ময়নার বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইঞার পরিবারের দাবি, সোমবার বিকেল ৫টা নাগাদ বাকচায় বিজয়কৃষ্ণকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার ময়নার তিনমাথার মোড়ে পথঅবরোধেরও ডাক দেয় বিজেপি। এই ঘটনায় বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দার অভিযোগ, বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁর ওপর হামলা হয়। হইচই শুনে পাড়ার লোকজন ছুটে এলে বন্দুক দেখিয়ে বিজয়বাবুকে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এলাকার বোমাবাজির অভিযোগও ওঠে। এরপর সোমবার রাতেই উদ্ধার হয় ময়নায় বিজেপির বুথ সভাপতি মৃতদেহ।