এক্কেবারে শিয়রে কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচন। চড়ছে উত্তেজনার পারদ। এমনই এক আবহে মঙ্গলের সকালেই ইস্তেহার প্রকাশ করা হল কংগ্রেসের তরফ থেকে। ইস্তেহারে শাসক দলকে ঘুরিয়ে বিদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে কংগ্রেসের তরফ থেকে। কারণ, ইস্তেহারে কংগ্রেস জানিয়েছে, নিষিদ্ধ ইসলামিক সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার অর্থাৎ পিএফআই-এর মতোই যেসব সংগঠন দেশে হিংসা ও বিদ্বেষমূলক বার্তা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে তাদের নিষিদ্ধ করা হবে। পাশাপাশি এও বলা হয়েছে যে, ‘জাতি বা ধর্মের ভিত্তিতে সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘৃণা ছড়ানো ব্যক্তি ও সংগঠনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে কংগ্রেস প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে আইন ও সংবিধান পবিত্র। বজরং দল, পিএফআই এবং অন্যান্য প্রচারকারী সংগঠনগুলিও তা লংঘন করতে পারবে না।’ এরই রেশ ধরে জানানো হয় যে, কংগ্রেস এই নির্বাচনে ক্ষমতায় এলে প্রয়োজনে এইসব সংগঠনকে নিষিদ্ধ করবে।
এর পাশাপাশি ক্ষমতায় আসার ১ বছরের মধ্যেই সব জনবিরোধী ও অযাচিত আইন বাতিল করার প্রতিশ্রুতিও দেওযা হয়েছে কংগ্রেসের তরফ থেকে। বিশেষত, যেসব আইনগুলি রাজ্যে বিজেপির আমলে পাশ করা হয়েছে সেগুলিই বাতিল করার আশ্বাস দিয়েছে কংগ্রেস। এর পাশাপাশি রাজ্যবাসীদের ২০০ ইউনিট করে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, পরিবারের প্রতি মহিলা প্রধানকে মাসিক ২ হাজার টাকা করে অনুদান, দরিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারকে প্রতি মাসে নিজেদের পছন্দসই ১০ কেজি খাদ্যশস্য দান সহ একাধিক জনদরদী প্রকল্পও স্থান পেয়েছে কংগ্রেসের ইস্তেহারে। উল্লেখ্য, কর্নাটকে নির্বাচনের আবহে বিজেপি-কংগ্রেস বাক-যুদ্ধ জোরদার হয়েছে। কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহারেও সেই ছবিটাই প্রকট হল। প্রসঙ্গত, সোমবার কর্নাটক বিধাসভা নির্বাচনে বিজেপির তরফ থেকে প্রকাশ করা হয় ইস্তেহার।
এদিকে কংগ্রেসের এই ইস্তেহার প্রকাশের পর অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির তারকা প্রচারক হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘পিএফআই ইতিমধ্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সিদ্দারামাইয়া সরকার পিএফআই-এর মামলা প্রত্যাহার করে নিত। তাই মুসলিমদের তুষ্টিকরণের জন্য তারা বজরং দলকে নিষিদ্ধ করার কথা বলছে। কংগ্রেস বলছে যে পিএফআই বলতে পারে না যে, আমরা প্রতিশোধ নেব। কংগ্রেসের ইস্তেহারকে পিএফআই এবং মৌলবাদী মুসলিম সংগঠনের ইস্তেহারের মতো মনে হচ্ছে।‘