চলতি আইপিএলকে থ্রিলার সিরিজ বলে অনায়াসে ধরে নেওয়া যায়। চেন্নাই সুপার কিংস বনাম পঞ্জাব কিংস ম্যাচটিকেই ধরুন। চলতি মরসুমে প্রথম বার মুখোমুখি হয়েছিল দুটি টিম। চেন্নাই সুপার কিংসের ডেরায় ঢুকে তাদেরকে হারানো মুখের কথা নয়। ভালোমতোই টের পাচ্ছিলেন পঞ্জাব কিংস অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান। ডেভন কনওয়ের ৯২ রানের ইনিংসে চেন্নাইয়ের স্কোরবোর্ডে ওঠে ২০০ রান। বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পঞ্জাবের কারও একজনের ব্যাটে বড় রান এল না। সকলেই কমবেশি অবদান রাখলেন। ম্যাচ পৌঁছল শেষ ওভার পর্যন্ত। শেষ ৬ বলে ৯ রানের প্রয়োজন ছিল পঞ্জাবের। একসময় শেষ বলে ৩ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। দুই রান হলে সুপার ওভার। বাউন্ডারি হাঁকানোর চেষ্টা করেছিলেন সিকন্দর রাজা। জাডেজা বাউন্ডারি আটকালেও ততক্ষণে দৌড়ে তিন রান পূর্ণ করে নেন রাজা ও শাহরুখ। শেষ বলে জয় পঞ্জাবের। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিয়েছে পঞ্জাব কিংস। ১৬ ওভারের পর ম্যাচের মোড় ঘোরে। শ্রীলঙ্কা পেসার মাথিশা পাথিরানার দারুণ বোলিং। কিন্তু ১৬তম ওভারে ম্যাচের মোড় ঘোরান লিয়াম লিভিংস্টোন। তাঁর তিনটি ছক্কা সমেত সর্বমোট ২৪ রান আসে ওই ওভারে। সেখান থেকে ম্যাচে ফেরে পঞ্জাব। শেষ দু ওভারে ২২ রানের প্রয়োজন দাঁড়ায়। এরপর শেষ বলে ৩ রান। স্ট্রাইকে ছিলেন জিম্বাবোয়ের সিকন্দর রাজা। মাথিশা পাথিরানার ডেলিভারি খেললেন চাতুরি করে। শাহরুখ খানের সঙ্গে দৌড়ে তিন রান পূর্ণ করে নেন রাজা। ৭ বলে অপরাজিত ১৩ রান তাঁর। এদিন শিখর ধাওয়ান ও প্রভসিমরন সিং জুটিতে ওঠে ৫০ রান। লিয়াম লিভিংস্টোন খেললেন ২৪ বলে ৪০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। চেন্নাইয়ের ছন্দে থাকা দুই ওপেনার ম্যাচের শুরুটা দারুণ করেন। ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ও ডেভন কনওয়ের ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৫৮ বলে ৮৬ রান। পাওয়ার প্লেতে ওঠে ৫৭ রান। ইনিংসের প্রায় মাঝপথ অবধি এই জুটিকে ভাঙতে পারেননি পঞ্জাবের বোলাররা। ৯.৪ ওভারে সিকান্দার রাজা ঋতুরাজের (৩৭) উইকেট তুলে নেন। এরপর শিবম দুবের সঙ্গে জুটি বাঁধেন কনওয়ে। জুটিতে ওঠে ২৬ বলে ৪৪ রান। ২৮ রান করে অর্শদীপ সিংয়ের শিকার হন শিবম। দ্রুত ফেরেন মইন আলি। পরপর উইকেট হারালেও একপ্রান্তে ক্রিজে জমে গিয়েছিলেন ডেভন কনওয়ে। শেষ পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন। ২০তম ওভারের প্রথম বলে রবীন্দ্র জাডেজার উইকেট তুলে নেন স্যাম কারান। এরপর মাঠে নামেন ধোনি। ততক্ষণে কনওয়ে পৌঁছে গিয়েছেন ৯১ রানে। চেন্নাইয়ের ইনিংসের শেষ ২ বলে জোড়া ছক্কা হাঁকান মাহি। ৪ বলে ১৩ রানে নট আউট মাহি। ৮ রানের জন্য শতরান হাতছাড়া হয় কনওয়ের। অপরাজিত ৯২ রানে মাঠ ছাড়েন কনওয়ে।