তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই তলব করল তারই প্রা্ক্তন আপ্ত সহায়ককে। সিবিআই সূত্রে খবর, টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রির মামলায় সোমবার তাপসের এই প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়ালকে তলব করা হয়েছে। আপাতত কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে শেষ পাওয়া পর্যন্ত, সোমবার ১২টা নাগাদ নিজাম প্যালাসে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে প্রবীরকে।
সিবিআই তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে যে, ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত নদিয়ার তেহট্ট ও সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে বিভিন্ন পদে চাকরি বিক্রি হয়েছে। আর এই চাকরি বিক্রিতে সরাসরি অভিযোগ উঠেছে তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহা ও তার প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়ালের বিরুদ্ধে। গত বছর এপ্রিল মাসে রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখায় তাপস-প্রবীরের নামে অভিযোগ দায়ের হয়। এরপরই প্রবীর ও তার ঘনিষ্ঠ দুজনকে গ্রেপ্তারও করে রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখা। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তভার আসে সিবিআইয়ের হাতে। মামলা রুজু করে তেহট্টের বিধায়ক, প্রবীর সহ বেশ কয়েকজনের বাড়িতে অভিযান চালায় সিবিআই। ডেকে বয়ান রেকর্ড করা হয় তাপস সাহার। এবার এতো সব ঘটনার সূত্র ধরে তলব করা হল প্রবীর কয়ালকে।
একইসঙ্গে সিবিআই-এর তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে যে, ২০২২ সালে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে প্রবীরের দুটি অ্যাকাউন্টে প্রায় দুটো কোটি টাকার বেশি টাকা এসেছে। এত অল্প সময়ে এত টাকা প্রবীরের অ্যাকাউন্টে কি কারণে পাঠানো হয়েছিল তা এবার জানতে চায় সিবিআই। একইসঙ্গে তেহট্টের বেতাই সহ বিভিন্ন এলাকার একাধিক ব্যক্তি চাকরি পাওয়ার আশায় প্রবীরকে টাকা দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ পেয়েছেন সিবিআই-এর তদন্তকারী আধিকারিকেরা। আর এখানেই সিবিআই-এর তরফ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কার নির্দেশে প্রবীর সেই টাকা নিয়েছিলেন বা কার কাছে সেই টাকা পৌঁছে দেওয়া হতো তার সমস্ত তথ্য বয়ান আকারে প্রবীরের কাছে জানতেই তলব করা হয়েছে প্রবীরকে। এখানেই শেষ নয়, সিবিআই সূত্রে এও জানা যাচ্ছে, বয়ারবান্ধায় প্রবীরের বাড়িটিও সিবিআই স্ক্যানারে। কারণ, ওই বাড়ি তৈরির টাকা কোথা থেকে পেয়েছিলেন তাও জানতে চান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। তাঁরা বোঝার চেষ্টা করছেন, এই বাড়ি তৈরিতেও নিয়োগ দুর্নীতির টাকা লগ্নি হয়েছে কিনা সে ব্য়াপারেও।