রবিবার সুকন্যা মণ্ডলকে ১৩ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিলেন দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতের বিচারক নরেশ কুমার লাকা। সূত্রে খবর, এদিনই তিহাড়ে পাঠানো হবে সুকন্যাকে। এদিকে এই তিহাড়েই রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলও।
সূত্রে খবর, রবিবার ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে সুকন্যাকে আদালতে পেশ করা হয়। এদিন তিনি আর্জি জানান, তাঁর বান্ধবী সুতপা পালের সঙ্গে তিনি প্রতিদিন দশ মিনিট করে কথা বলার জন্য। পাশাপাশি বাবার সঙ্গে কথা বলার আর্জি তো আছেই। পাশাপাশি সংশোধনাগারে ধর্মীয় বই পড়তে চান সুকন্যা। এই প্রসঙ্গে এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্টের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, জেল কর্তৃপক্ষ যদি অনুমতি দেয় সেক্ষেত্রে তাদের কোনও আপত্তি নেই।
আদালত সূত্রে খবর, এদিন ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে সুকন্যা মণ্ডলকে উপস্থিত করা হলেও নতুন করে তাঁকে হেপাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়নি ইডি-র তরফে। এরপরই আদালত তাঁকে ১৩ দিন জেল হেপাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ মে।
উল্লেখ্য, গোরু পাচার মামলায় অতীতে একাধিকবার তলব করা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডল কন্যাকে। কিন্তু, বিভিন্ন কারণে হাজিরা এড়িয়েছিলেন তিনি। গত বুধবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তিন দিনের জন্য তাঁকে ইডি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই হেপাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেই তাঁকে এদিন আদালতে তোলা হয়। এদিকে ইডি সূত্রে এ খবরও মিলছে যে, ইডি-র জেরার মুখে ভেঙে পড়েছিলেন সুকন্যা। বাবা অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলতে চাইছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, ইডি জেরার মুখে সুকন্যা বারবার জানান যে, গোরু পাচার মামলা নিয়ে তিনি কিছু জানেন না। যদিও তদন্তকারীদের সন্দেহের গেরোয় সুকন্যা। এদিকে তাঁর এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির উৎস কী তা জানতে মরিয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দপ্তরের আধিকারিকেরা। উল্লেখ্য, অতীতে ইডি-র হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি।
অন্যদিকে, তাঁর যে বান্ধবী সুতপা পালের সঙ্গে দিল্লিতে গিয়েছিলেন তিনি, তাঁকেও ইডি দপ্তরের বাইরে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। তিনিও নাকি বলেছিলেন, তাঁকেও একইসঙ্গে গ্রেপ্তার করা হোক। কারণ তাহলে অন্তত অনুব্রত কন্যা সুকন্যার সঙ্গে একসঙ্গে থাকতে পারবেন।
এদিকে মেয়ের গ্রেপ্তার হওয়ার কথা জানতে পেরে মেয়ের চিন্তায় ঘুম উড়েছে তিহাড়ে থাকা অনুব্রত মণ্ডলেরও। রাতে ঘুম হচ্ছে না, ঠিক মতো খাওয়া দাওয়াও করছেন না তিনি, জানা গিয়েছে এমনটাই।