লখনউয়ের বড় রানের চাপ নিতে না পেরে হারল পঞ্জাব

ব্যাটিং পিচ। মোহালিতে দেখা গেল রান উৎসব। আইপিএলের ইতিহাসে সর্বাধিক স্কোরের রেকর্ড অল্পের জন্য রক্ষা পেল। যদিও শুরুটা অন্যরকম হতে পারতো। কয়েক ম্যাচ পর ফিরলেন পঞ্জাবের নিয়মিত অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান। তাঁর ফেরাটা সুখকর হল না। ঘরের মাঠে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শিখর ধাওয়ান। পঞ্জাব কিংসের অভিষেক হল হরনুর ব্রারের। প্রথম বলেই তাঁর ঝুলিতে আসতে পারত লোকেশ রাহুলের বড় উইকেট। যদিও প্রথম বলেই তাঁর ক্য়াচ ফেলেন অথর্ব তাইডে। সেই ক্যাচ মিস অবশ্য খুব বড় ফ্যাক্টর হয়নি। লোকেশ রাহুল ফিরলেন দ্রুতই। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে কাগিসো রাবাডাকে আক্রমণে আনেন শিখর। প্রথম বলেই ছয় মারেন রাহুল। পরের বলে ওয়াইড স্লিপে শাহরুখের ক্যাচে ফেরেন লখনউ অধিনায়ক। এরপরও জায়ান্ট স্কোর। শেষ অবধি ৫৬ রানের বড় জয় লখনউয়ের। লোকেশ রাহুল দ্রুত ফিরলেও কাইল মেয়ার্স এবং তিনে নামা আয়ুষ বাদোনি দুর্দান্ত ব্যাট করেন। অর্ধশতরান করে ফেরেন কাইল মেয়ার্স। এ বারের আইপিএলে প্রথম বার চারে ব্যাট করতে নামেন মার্কাস স্টইনিস। আয়ুষ বাদোনির সঙ্গে বিধ্বংসী জুটি তাঁর। তৃতীয় উইকেটে ৪৭ বলে ৮৯ রান যোগ করেন আয়ুষ বাদোনি ও মার্কাস স্টইনিস। বাদোনি বিধ্বংসী ইনিংস খেলে ফিরলেও লখনউয়ের রানের গতি কমেনি। স্টেইনসের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন নিকোলাস পুরান। মাত্র ৩০ বলে ৭৬ রান যোগ করে তারা। ১৬ ওভারেই ২০০ স্কোরে পৌঁছায় লখনউ সুপার জায়ান্টস। আইপিএলের ইতিহাসে এখনও অবধি সর্বাধিক স্কোরের রেকর্ড রয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের৷ গেইল ঝড়ে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে ২৬৩-৫ করেছিল তারা। এই স্কোর না টপকাতে পারলেও আইপিএলের ইতিহাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার ২৫০-র স্কোর পেরোল কোনও দল। ২৫৭-৫ করে লখনউ সুপার জায়ান্টস। রান তাড়ায় শুরুতেই ধাক্কা খায় পঞ্জাব কিংস। প্রথম ওভারেই অধিনায়ক শিখর ধাওয়ানকে ফেরান মার্কাস স্টইনিস। চতুর্থ ওভারে ফেরেন প্রভসিমরন সিং। তবে তৃতীয় উইকেটে সিকান্দার রাজা এবং অথর্ব তাইডে ৪৭ বলে ৭৮ রানের জুটি গড়ে। তবে রানের চাপ ক্রমশ বাড়তে থাকায় পঞ্জাবের সম্ভাবনাও কমতে থাকে। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট নিতে থাকে লখনউ। শেষ অবধি ২০১ রানেই অলআউট পঞ্জাব কিংস। বড় জয়ে নেট রান রেটও বাড়িয়ে নিল লখনউ সুপার জায়ান্টস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 − 4 =