পরপর ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাস ও পয়েন্ট টেবল দুটোরই তুঙ্গে ছিল চেন্নাই সুপার কিংস। কিন্তু বৃহস্পতিবারের রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ম্যাচটির গুরুত্ব ছিল আলাদা। চলতি আইপিএলের প্রথম পর্বে যে গুটি কয়েক ম্যাচ হেরেছে চেন্নাই তার মধ্যে একটি রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে। চিপকের মাঠে টানটান শেষ ওভারে রাজস্থানের বিরুদ্ধে দলকে জেতাতে পারেননি মহেন্দ্র সিং ধোনি। সন্দীপ শর্মার শেষ ওভারে ম্যাচ ফিনিশ করতে পারেননি মাহি। রাজস্থানের ঘরের মাঠে তাদেরকে হারানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে নেমেছিল চেন্নাই। ব্যাটে-বলে চেন্নাইকে চাপে রাখল রাজস্থান। ব্যাটে যশস্বী জসওয়াল, ধ্রুব জুরেলদের দাপট। সোয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে অ্যাডাম জাম্পা, রবিচন্দ্রন অশ্বিনদের ঘূর্ণিতে থামল চেন্নাইয়ের বিজয়রথ। বদলা হল না। চিপকের পর জয়পুরেও জয়। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ২-০ রাজস্থানের। সিএসকে হারল ৩২ রানে। দু ম্যাচ পর রাজস্থান জয়ে ফিরল। প্রথমে ব্যাটিং করে চেন্নাইকে বড় লক্ষ্য দেওয়ার পরিকল্পনা খেটে যায় রাজস্থানের। যশস্বী জসওয়াল এবং জস বাটলারের ওপেনিং জুটির ঝোড়ো সূচনা। পাওয়ার প্লে ওভারে ওঠে বিনা উইকেট খুইয়ে ৬৪ রান। যার বেশিরভাগটারই অবদান ছিল যশস্বীর। ২৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করে রাজস্থানে তরুণ ওপেনার আইপিএলে তাঁর ষষ্ঠ অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। একটা সময় মনে হচ্ছিল ঘরের মাঠে শতরান আজই পূর্ণ করে ফেলবেন যশস্বী। শেষমেশ ৮টি চার ও ৪টি ছয়ের সাহায্যে ৪৩ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন যশস্বী জসওয়াল। যশস্বী ঝড়ে উল্টোদিকে শান্ত মনে হচ্ছিল জস বাটলারকে। ২১ বলে ২৭ রান বাটলারের। পঞ্চম উইকেটে ধ্রুব জুরেল ও দেবদত্ত পাডিকল জুটির ঝোড়ো ইনিংসে রাজস্থানের স্কোর দুশোর ঘরে পৌঁছে যায়। ১৫ বলে ৩৪ রান করে রান আউট হন জুরেল। ১৩ বলে ২৭ রান পাডিকলের। চেন্নাইয়ের সামনে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান খাড়া করে রাজস্থান। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লে ওভারে ১ উইকেট খুইয়ে ৪২ রান ওঠে চেন্নাইয়ের খাতায়। ঋতুরাজ গায়কোয়াড়কে ৪৭ রানে ফেরান জাম্পা। চার নম্বরে নেমে শিবম দুবে চেষ্টা করেছিলেন প্রবল। ২৩ বলে ৫২ রান করলেন। ১৪.৫ ওভারে ছন্দে থাকা মইন আলিকে ফিরিয়ে বাজিমাত করেন জাম্পা। ব্যাট হাতে মাঠে নামার সুযোগ পেলেন না মহেন্দ্র সিং ধোনি। ঘরের মাঠে হারের পর রাজস্থানের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচেও হার চেন্নাইয়ের।