কালিয়াচকের ঘটনাও উঠল হাইকোর্টে, বৃহস্পতিবার শুনানির সম্ভাবনা

একদিকে যখন কালিয়াগঞ্জের রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় তুলেছে ঠিক তখনই আরও এক কিশোরীর খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কালিয়াচকও। আর কালিয়গঞ্জের এই ঘটনায় যখন হাইকোর্টে সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছে বিজেপি, তখন একই ভাবে মালদার কালিয়াচকের বালিকা মৃত্যু ঘটনাতেও হাইকোর্টের শরণাপন্ন হলেন আইনজীবী অনিন্দ্য সুন্দর দাস। সূত্রে খবর, কালিয়াচকের ঘটনাতেও সিবিআই তদন্ত ও আর্থিক সাহায্যের দাবিতে মামলা দায়ের করেন তিনি। আদালত সূত্রে খবর, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা দায়ের হয়। বৃহস্পতিবার শুনানির সম্ভাবনা।
মঙ্গলবার কালিয়াচকে বছর বারো কী তেরোর এক কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয় মাঠের পাশ থেকে। প্রথমে তা দেখতে পান এলাকাবাসী। তাঁরাই খবর দেন পুলিশে। ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত এক যুবককে গ্রেপ্তার করেন কালিয়াচক থানার পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার এক সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, ধৃত যুবকের সঙ্গে ন’দিন আগে মৃত্যুর ঘটনার ফোন মারফত যোগাযোগ হয় ওই নাবালিকার। এরপর দু’জনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও তৈরি হয়। এরপর মেয়েটি অভিযুক্তকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। তবে অভিযুক্ত যুবক তা নাকচ করে দেয়। এই প্রসঙ্গে পুলিশ আরও জানিয়েছে, ওই যুবক ওই কিশোরীকে জানায় যে সে বিবাহিত। তার দুই সন্তানও রয়েছে। এরপরও বিয়ের জন্য ক্রমাগত চাপ দেওয়ার কারণে সে নির্যাতিতাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে নিজের বাড়ি থেকে প্রায় দু’কিমি দূরে ফেলে রেখে আসে।
প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো মালদা জেলার পুলিশ সুপারকে চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠি পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট এবং ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের কাছে পাঠানোর জন্য বলেন তিনি। এদিকে সূত্রে এ খবরও মিলছে, বিজেপি নেত্রী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই রিপোর্ট তলব করে জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। একইসঙ্গে ঘটনার এফআইআর কপি, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, ওই বালিকার বয়সের সার্টিফিকেট এবং কীভাবে তার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ নিয়ে গিয়েছিল,সেই সব সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠানো হয় জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফ থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 2 =