১৬ টা ফ্ল্যাটের খোঁজ মিলেছে অয়ন শীলের। যার মধ্যে কয়েকটি রয়েছে নিজের নামে আবার কয়েকটি বেনামে। এমনটাই জানানো হয়েছিল ইডির তরফ থেকে। এদিকে মঙ্গলবার আদালতে ইডির তরফ থেকে দাবি করা হয় ফ্ল্যাট সংক্রান্ত তথ্যও ভুল দিচ্ছে অয়ন। আর এখানে ইডি-র তদন্তকারীদের ধারনা, তাদের হাত থেকে বাঁচতে এবার নতুন পরিকল্পনা নিয়েছেন এই প্রোমোটার। আর এরই রেশ ধরে তুলে ধরা হয় বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাটের তথ্য। যেখানে ইডি-র জেরায় অয়ন দাবি করে, চুঁচুড়ায় এবিএস টাওয়ারের ৩৭টি ফ্ল্যাটের মধ্যে ৩৫টি বিক্রি হয়ে গেছে। এদিকে ইডি সূত্রে দাবি, ফ্ল্যাট বিক্রি হয়ে গেছে বলে দাবি করা হলেও ২০টির বেশি ফ্ল্যাটের কোনও সেল ডিড বা এগ্রিমেন্ট দেখাতে পারেননি অয়ন শীল। পাশাপাশি ইডি-র তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে যে, তারই সংস্থায় কর্মরতদের বয়ানে জানা গিয়েছে বিক্রি হয়নি এই ফ্ল্যাটগুলো। শুধুমাত্র ইডির অ্যাটাচমেন্ট থেকে বাঁচাতে অয়ন দাবি করেছিলেন ফ্ল্যাটগুলো বিক্রি হয়েছে।
এদিকে অয়নের শুনানি চলাকালীন আদালতে ইডি দাবি করেছে, ৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার হয়েছে আর্থিক লেনদেনে। ৪৫ কোটি টাকা তোলা হয়েছে হাজার হাজার চাকরি প্রার্থীর কাছে থেকে। ২০টি নামে ও বেনামে ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে কলকাতা, দিল্লি মিলিয়ে। কেনা হয়েছে পাঁচটির বেশি গাড়ি।
এদিকে ইতিমধ্যেই পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এফআইআর করেছে সিবিআই। হাইকোর্টের নির্দেশের পর আলিপুর আদালতে এই এফএইআর জমাও পড়েছে। এই এফআইআর-এ নাম রয়েছে অয়ন শীলেরও।