নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত প্রোমোটার অয়ন শীল। অয়নের যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে তা আগেই আঁচ করতে পেরেছিলেন ইডি-র আধিকারিকেরা। আর তা যে বাস্তবে সত্য তা সম্পর্কে তাঁরা আরও নিশ্চিত হলেন অয়নের নামে ১৬টি ফ্ল্যাটের হদিশ মেলার পর।
ইডি সূত্রে খবর, বিগত কয়েকদিন দিনে হুগলিতেই অয়নের আরও ৮টি ফ্ল্যাটের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। ইডি সূত্রে এও জানানো হয়েছে যে, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা দিয়ে শুধু নিজের নামেই নয়, পাশাপাশি আত্মীয়দের নামেও ফ্ল্যাট কিনেছেন অয়ন। পাশাপাশি ইডি-র আধিকারিকেরা এও জানতে পেরছেন যে, নামে-বেনামে অয়নের প্রায় ৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। অয়নের সংস্থার কর্মী ও ঘনিষ্ঠদের নামেই এই অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে ইডি-র তরফ থেকে।
ইডি সূত্রে খবর, সোমবার অয়নের গাড়ির চালক ও তাঁর সংস্থা এবিএস ইনফোজোনের এক কর্মীকে সিজিও কম্পলেক্সে তলব করা হয়। অয়নের সংস্থা সম্পর্কে তাঁদের কাছ থেকে আরও তথ্য জানতে চান ইডি-র আধিকারিকেরা। প্রয়োজনে রেকর্ড করা হবে তাঁদের বয়ানও।
এরই পাশাপাশি ইডি-র সূত্রে এ খবরও মিলছে, অয়নের ছেলে অভিষেকে শীলের সঙ্গে ইমন গঙ্গোপাধ্যায় নামে এক মহিলার যৌথ ব্যবসা রয়েছে। ইমন এক উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকের মেয়ে বলেই ইডি সূত্রে দাবি করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহেই তাঁকে ইডি দপ্তরে হাজিরা দিতেও বলা হয়েছে। কারণ, ইডি-র তরফ থেকে এটাই জিজ্ঞাস্য থাকবে যে, বাবা সরকারি আধিকারিক হওয়ার সৌজন্যে যৌথ ব্যবসায় কোনও প্রভাব খাটানো হয়েছে কিনা ইমনের কাছে সে ব্যাপারেও। এর পাশাপাশি অয়নের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি ও ব্যবসা সম্পর্কে তাঁর থেকেও খোঁজখবর নেওয়া হতে পারে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।
এর আগে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে অয়নের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীকে তলব করে ইডি। কারণ, তদন্তে নেমে ইডি জানতে পারে ভাগ্নি পরিচয়ে দীর্ঘদিন অয়নও শ্বেতা একই ফ্ল্যাটে থেকেছেন। অয়নের সঙ্গে শ্বেতার লেনদেনর তথ্য আগেই পেয়েছিল ইডি। তাঁকে সেই বিষয়েও জিজ্ঞাসবাদ করা হয়। অয়নের বিপুল সম্পত্তির উৎস ও এই দুর্নীতিতে তিনি জড়িত কিনা সেই নিয়েও শ্বেতাকে প্রশ্ন করা হয়। তবে শ্বেতার দাবি, তিনি কর্মসূত্রে অয়নকে চেনেন মাত্র। অন্য কিছুই নয়।