কালিয়াগঞ্জ ইস্যু এবার পৌঁছে গেল আদালতের দরজায়। সোমবার কালয়াগঞ্জের ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। কালিয়াগঞ্জের গোটা বিষয়টি উল্লেখ করে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস।
এই জনস্বার্থ মামলায় দাবি করা হয় যে, কালিয়াগঞ্জে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের যে ঘটনা ঘটেছে তাতে সিবিআই তদন্ত করা হোক। সিবিআই তদন্তের পাশাপাশি নিহত নাবালিকার পরিবারকে পুলিশি নিরাপত্তা ও ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের দাবিও তোলেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি এও জানান, এই ঘটনায় পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করছে না। ঘটনার তিন দিন পেরিয়ে গেলেAও এখনও পর্যন্ত নিহত ছাত্রীর পরিবারের বয়ানও তদন্তকারী আধিকারিকরা রেকর্ড করাননি বলে এদিন অভিযোগ জানান আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর।
এদিকে পুলিশ এক্ষেত্রে বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর তত্ত্ব সামনে এনেছে। শুধু তাই নয়, ময়নাতদন্তের আগেই জেলার পুলিশ সুপার এমনটাও বলেছিলেন যে, বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে ছাত্রী। ময়নতদন্তের আগেই কীভাবে এমনটা বলে দেওয়া সম্ভব, তা নিয়েও উঠে প্রশ্ন। এই সমগ্র বিষয়টি উল্লেখ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর।
এই ঘটনায় আবার জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন ও রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের মধ্যেও তরজা অব্যহত।
এর পাশাপাশি উঠে এসেছে, জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের সঙ্গে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরজার ঘটনাও। এদিকে সোমবার জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগোর সঙ্গে দেখা করতে যান উত্তর দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক মানস মণ্ডল, রায়গঞ্জের এসডিও কিংশুক মাইতি এবং রায়গঞ্জ মেডিকেলের ময়না তদন্তের চিকিৎসক ভাস্কর জ্যোতি দেবনাথও। জাতীয় কমিশনের চেয়ারপার্সন এদিনও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো যে এই ঘটনায় বারবার আঙুল তুলছেন রাজ্য পুলিশের দিকেই এদিন হাইকোর্টে তাও উল্লেখ করেন আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর।