চিঠি বিতর্ক নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার সুপ্রিম কোর্টে গেলেন কুন্তল ঘোষ। একেবারে তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেকের পথেই হাঁটালেন তিনি। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা, এমনটাই খবর শীর্ষ আদালত সূত্রে।
প্রসঙ্গত, কুন্তলের চিঠি নিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের উপর শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। এমনকি অভিষেকের শহিদ মিনারের সভার বক্তব্যও তদন্তের বাইরে রাখা উচিত নয়, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণের এই অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে স্থগিতাদেশ পেয়ে যান অভিষেক।
এদিকে অভিষেকের নাম বলার জন্য চাপ দিচ্ছে ইডি, এই অভিযোগ তুলে গত ৩১ মার্চ নিম্ন আদালতে একটি চিঠি দেন কুন্তল। পরের দিন ওই চিঠি যায় হেস্টিংস থানায়। তদন্ত প্রভাবিত করতে মিথ্যা অভিযোগ করেন কুন্তল, এই পাল্টা দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। এরপর গত ১৩ এপ্রিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পর্যবেক্ষণে জানান, ওই চিঠির প্রেক্ষিতে প্রয়োজনে কুন্তল এবং অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই এবং ইডি। পাশাপাশি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এ নির্দেশও ছিল, কুন্তলের চিঠির প্রেক্ষিতে পরবর্তী নির্দেশ ছাড়া হেস্টিংস থানা কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না। এমনকি উচ্চ আদালতের অনুমতি ছাড়া রাজ্যের কোনও থানা নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই এবং ইডির আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে পারবে না। হাইকোর্টের ১৩ এপ্রিলের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই শীর্ষ আদালতে আবেদন জানান কুন্তল। প্রসঙ্গত, বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা এখনও জেলেই রয়েছেন। তবে কুন্তলের এই দাবি নিয়ে তোলপাড় পড়ে বাংলা রাজনীতি। এবার সেই জল গড়াল শীর্ষ আদালতেও।