ঠিকানা বদল হতে চলেছে সিবিআই, সূত্রে খবর এমনটাই। সরে যেতে চলেছে মোমিনপুর স্কোয়ারের একটা বাড়িতে। তবে সেখানেও রয়েছে সমস্যা। কারণ, সল্টলেক বা নিজাম প্যালেসের মতো খোলামেলা জায়গা মিলবে না মোমিনপুরে। ফলে সিবিআই আধিকারিকদের একাংশের এ সিদ্ধান্ত না পসন্দ। ফলে ঠিকানা বদল হয়ে মোমিনপুরে সিবিআই দপ্তর সত্যি উঠে আসবে কি না তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়ে যাচ্ছে। তবে অধিকাংশের মতেই এবার সত্যিই হয়তো বদল হতে চলেছে সিবিআই দপ্তরের ঠিকানা।
কারণ একটাই। সল্টলেকে সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট অফিস কমপ্লেক্স বা সিজিও কমপ্লেক্সএবং নিজাম প্যালেসে ছড়িয়ে রয়েছে সিবিআইয়ের নানা দপ্তর। এদিকে এই দপ্তরগুলোকে দীর্ঘদিন ধরেই এক ছাদের তলায় আনার চেষ্টা করছে সিবিআইয়ের দিল্লি সদর দপ্তরও। সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘ডি’ উইং-এ ছড়িয়ে সিবিআই-এরস্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ, ব্যাঙ্ক দুর্নীতি দমন শাখা এবং অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখার দপ্তর। সেখান থেকেই তদন্ত চলছে সারদা, রোজভ্যালি, টাওয়ার গ্রুপ-সহ রাজ্যের একগুচ্ছ চিটফান্ডের। শুধু তাই নয়, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তও হচ্ছে সল্টলেকের এই সিজিও কমপ্লেক্স থেকেই।
অন্যদিকে নিজাম প্যালেসে রয়েছে সিবিআইয়ের অ্যান্টি করাপশান ব্রাঞ্চ বা দুর্নীতি দমন শাখার দপ্তর। সেখান থেকে এই মুহূর্তে রাজ্যের সবচেয়ে বড় হাই প্রোফাইল মামলাগুলির তদন্ত পরিচালিত হচ্ছে। যার মধ্যে পড়ছে কয়লা পাচার, গরু পাচার, নিয়োগ দুর্নীতির একাধিক মামলার তদন্ত। ফলে এই সমস্ত দপ্তরকে এক ছাদের তলায় নিয়ে যেতে মোমিনপুর স্কোয়ারে ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেডের একটি ১০ তলা বাড়িতে ঠিকানা বদল করতে চান সিবিআইয়ের শীর্ষ আধিকারিকরা।
এ ব্যাপারে আগেও সিদ্ধান্ত নেওযা হয়েছিল। তখন স্থির করা হয় যে, ২০২৩-এর মার্চ মাসের মধ্যে মোমিনপুর স্কোয়ারের এই বাড়িতে চলে যাওয়া হবে। তবে বেশ কিছু সমস্যার জন্য বাস্তবে সেটা সম্ভব হয়নি। এদিকে সপ্তাহ দু’ সপ্তাহ আগে সিবিআইয়ের অতিরিক্ত অধিকর্তা অজয় ভাটনগর কলকাতায় এসেওছিলেন। সেই সময়ও তিনি এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। তবে সমস্যা রয়েছে সিবিআইয়ের আধিকারিকদের মধ্যেই। মোমিনপুর জায়গাটা ঘিঞ্জি হওয়ায় অনেকেরই পছন্দ হচ্ছে না নতুন অফিস।