লখনউয়ের জেতা ম্যাচ কেড়ে নিল গুজরাট

গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে লখনউ সুপার জায়ান্টসের ৭ রানে হার কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন? ভাষা নেই ক্রিকেট প্রেমীদের মুখে। ঘরের মাঠে গুজরাটকে চেপে ধরেছিল লখনউ। স্কোরবোর্ডে ওঠে মাত্র ১৩৫ রান। স্বল্প রান তাড়া করে সুপার জায়ান্টসের জেতা নিশ্চিত, ভেবেই নিয়েছিল একানা স্টেডিয়াম। লোকেশ রাহুলদের ব্যাটিং অন্তত সেই ইঙ্গিত দিচ্ছিল। তারপর যা হল সেটা অবিশ্বাস্য ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না। জয়ের জন্য শেষ ওভারে সুপার জায়ান্টসের প্রয়োজন ছিল ১২ রান। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া বল তুলে দিয়েছিলেন মোহিত শর্মার হাতে। ক্যাপ্টেনের হাতে ম্যাচটাই তুলে দিলেন মোহিত। চাপের মুখে ওভারের দ্বিতীয় বলে ফেরান কেএল রাহুলকে। পরের বলেই আউট নতুন ব্যাটার মার্কাস স্টইনিস। ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে রান আউট হয়ে ফেরেন আয়ুষ বাদোনি এবং দীপক হুডা। যে ম্যাচ শেষ ওভার পর্যন্ত যাওয়ার কথাই নয়, ঘরের মাঠে সেই ম্যাচটাই ৭ রানে হেরে বসেছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। পান্ডিয়া ভাইদের লড়াই। শনিবাসরীয় আইপিএলে লখনউ সুপার জায়ান্টস বনাম গুজরাট টাইটান্স ম্যাচটিকে এভাবেই দেখা হচ্ছিল। হার্দিক ও ক্রুণাল দু’জনই নিজের দলের হয়ে সেরাটা দিলেন। শেষ হাসি হার্দিকের। ঘরের মাঠে গুজরাটকে স্বল্প রানে আটকে দিয়েছিল লখনউ। ২০ ওভারে ১৩৫ রান। রান তাড়া করতে নেমে হেসেখেলে লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে লখনউ, ভাবা হচ্ছিল এমনটাই। দুই ভাইয়ের লড়াই ছাপিয়ে শিরোনামে ওঠার কথা ছিল লোকেশ রাহুলের। তাঁর ৬৮ রানের ইনিংস পুরোপুরি জলে গিয়েছে। তাঁর পরিবর্তে শেষ ওভারে ম্যাচের নায়ক হয়ে গেলেন মোহিত শর্মা। ২টি উইকেট নিলেন, ২টি রান আউট, খরচ করলেন ৪ রান। ১৩৫ রানের পুঁজি নিয়ে টি-২০ ম্যাচ জেতা মোটেও মুখের কথা নয়। এই রান ডিফেন্ড করতে হলে বোলিং ব্রিগেডকে অবিশ্বাস্য কিছু করে দেখাতেই হবে। গুজরাটের বোলিং বিভাগ তাতে পাশ মার্কস পাবে। দলের বাঁ হাতি চায়নাম্যান বোলারকে নূর আহমেদকে খেলতে বেগ পেতে হল। ১৮ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন নূর। একটি উইকেট রশিদের। এরপর শেষ ওভারে মোহিত-ম্যাজিক। বোলারদের জাদু ‘বলে’ লখনউয়ের নাকের ডগা থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়ে গেল গুজরাট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × four =