ফোর্ট উইলিয়াম। কলকাতার বুকে ফোর্ট উইলিয়ামের কথা সকলেই জানেন। তবে তার পাঁচিল দেখলেও ভেতরে ঢোকার সৌভাগ্য হয়নি বেশিরভাগ মানুষেরই। কারণ এটি সংরক্ষিত এলাকা। বিনা অনুমতিতে প্রবেশ নিষেধ। সেনাবাহিনীর আওতায় রয়েছে বর্তমান।
ফোর্ট উইলিয়াম কলকাতা শহরের বুকে ব্রিটিশ আমলের একটি দুর্গ। ব্রিটিশ শাসনকালে সামরিক শক্তির সবচেয়ে বড় নিদর্শন। ভারতীয় সেনা এখন এটি ব্যবহার করে।
কলকাতার শহরের সঙ্গে জড়িয়ে স্বাধীনতার লড়াইও। আর সেই সময়কার সামরিক ইতিহাস জানতে ফোর্ট উইলিয়ামে ঘুরে আসতে পারেন আপনিও।
২০২২ সালের অক্টোবর মাস থেকে প্রতি রবিবার হেরিটেজ ওয়াক শুরু হয়েছে। সকাল আটটা থেকে দুপুর দু’টো পর্যন্ত দুটো স্লটে গ্রুপ হেরিটেজ ওয়াক করায় ফোর্ট কর্তৃপক্ষ। তবে সেই স্লট বুক করতে হয় অনলাইনে, ইমেল করে। fortwilliamheritagewalk@gmail.com ইমেল আইডিতে ইমেল করে নাম জানাতে হয়। তারপর তাঁরা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর দেন, সেখান মাথা পিছু টাকা জমা করলে স্লট বুক হয়ে যায়। অন্তত এক সপ্তাহ আগে বুকিং করতে হয়। তবে ছাত্রছাত্রীদের জন্য় কোনও টাকা লাগে না।হেরিটেজ ওয়াকে কী কী দেখা যায়? অক্ষয় জ্যোতি এবং শহিদ বেদি, বিভিন্ন যুদ্ধে শহিদ সেনাদের পদমর্যাদা ও নাম, বিভিন্ন রেজিমেন্টের বিভাগ এবং তাদের কার্যকলাপের সংক্ষিপ্ত বিবরণ,কেল্লার পরিখা, এক জোড়া সিংহ, বাংলাদেশের যুদ্ধে পাওয়া একটি ট্যাংক, একটি ফাইটার প্লেন, ডালহৌসি বারাক, নেতাজির সেল, নতুন চার্চ, মন্দির, গুরুদুয়ার, কিচেনার হাউস ও টাইম গান, গান হাউস, বল টাওয়ার, আমহার্স্ট হাউস, কমান্ড লাইব্রেরি এবং ফোর্টের সবথেকে পুরোনো কামান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র, কামানের গোলা এবং কেল্লা থেকে সেটা ছোঁড়ার ব্যবস্থা ও কমান্ড মিউজিয়াম। তবে এই হেরিটেজ ওয়াক নিতে মানতে হয় বেশকিছু নিয়ম।যেমন, দেরি করা চলবে না। চটি, হাওয়াই, হাফপ্যান্ট, মিনিস্কার্ট, থ্রি কোয়াটার্স প্যান্ট-এসব পরা যাবে না। জুতো পরতে হবে, ফরমাল বা ক্যাজুয়াল। সরকারি পরিচয়পত্রের আসল ও ফটো কপি সঙ্গে রাখতে হবে। ফটো কপি ওখানে জমা করতে হবে। ছবি তোলা যায় না। ফোর্ট কর্তৃপক্ষ ওয়াকের ছবি তুলে রাখে। সেটি পরে গ্রুপ লিডারকে ইমেল করে পাঠিয়ে দেয়। সঙ্গে অবশ্য জলযোগের ব্যবস্থাও থাকে। তার জন্য অবশ্য আর আলাদা করে টাকা দিতে লাগে না।