চলতি আইপিএলে কেকেআর কে হারিয়ে দিল্লির প্রথম জয়

একটা দল হারের হ্য়াটট্রিক রুখতে মরিয়া। অন্যদল, মরসুমে প্রথম জয়ের খোঁজে। একটা সমানে সমানে লড়াইয়ের প্রত্যাশা ছিল। ম্য়াচের উত্তেজনা কিছুটা ধাক্কা খেল বৃষ্টিতে। ম্যাচ শুরু হলেও সমর্থকদের জন্য চার-ছয়ের বিনোদন হল না। দিল্লি সমর্থকদের জন্য স্বস্তি, অবশেষে জয়ে ফিরল দল। টানা পাঁচটি ম্যাচ হেরে খাদের কিনারায় ছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। কিছুটা অক্সিজেন পেল তারা। নেট রান রেট ভালো করারও সুযোগ ছিল দিল্লির সামনে। সামনে লক্ষ্য মাত্র ১২৮ রানের। দ্রুত ম্য়াচ শেষ করলে নেট রানরেট ভালো হত। দিল্লি অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ছন্দে। তবে উল্টোদিক থেকে পৃথ্বী শ, মিচেল মার্শ, ফিল সল্টের উইকেট হারায় দিল্লি। স্পিনাররা আক্রমণে আসতেই রান তুলতে হিমসিম খায় দিল্লি। মরসুমের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি ওয়ার্নারের। ১৪তম ওভারে ওয়ার্নারও ফিরতে চাপ বাড়ে দিল্লির। কেকেআর স্পিনাররা অনবদ্য। শেষ অবধি ৪ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে জয় দিল্লির। মরসুমের প্রথম পাঁচ ম্যাচেই হেরেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। তাদের বিরুদ্ধে কি আত্মতুষ্টি কাজ করছিল? বৃষ্টির জন্য ঘণ্টাখানের দেরিতে শুরু হল ম্যাচ। একটা রুদ্ধশ্বাস ম্য়াচের প্রত্যাশা ছিল। টস জিতে কেকেআরকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান দিল্লি অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। দু-দলের একাদশেই পরিবর্তন। মরসুমের চতুর্থ ভিন্ন ওপেনিং জুটি নামাল কেকেআর। আইপিএল অভিষেক হল বাংলাদেশের কিপার-ব্যাটার লিটন দাসের। তেমনই কেকেআর জার্সিতে অভিষেক জেসন রয়ের। ওপেন করে এই জুটি।  জেসন রয় এক দিক আগলে রাখলেও উল্টোদিক থেকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে কেকেআর। একটা সময় মনে হয়েছিল একশোর গণ্ডি পেরনো সম্ভব হবে তো! শেষ দিকে আন্দ্রে রাসেল ৩১ বলে ৩৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। ২০ ওভারে ১২৭ রানেই অলআউট কলকাতা নাইট রাইডার্স। শেষ বলে রান আউট বরুণ চক্রবর্তী। দিল্লি যতই ছন্দহীন হোক, এই রান যথেষ্ঠ ছিল না কেকেআরের জন্য। তবে এই রান নিয়েও দুর্দান্ত লড়াই স্পিনারদের। শেষ দিকে, বাউন্ডারিতে খারাপ ফিল্ডিং, লিটনের জোড়া স্টাম্পিং মিস। শেষ অবধি রুদ্ধশ্বাস জয় দিল্লি ক্যাপিটালসের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 5 =