অফিস টাইমে চিংড়িঘাটা উড়ালপুলে গর্ত, আতঙ্কে গতি শ্লথ গাড়ির, নাকাল যাত্রীরা

অফিস টাইমে চিংড়িঘাটা উড়ালপুলে নজরে আসে একাধিক বড় গর্ত। আর তার জেরে থমকে যায় গাড়ির গতি। সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উড়ালপুলের সল্টলেকগামী রাস্তায় একেবারে চিংড়িঘাটা থেকে নিক্কো পার্ক এবং সেক্টর ফাইভ যাওয়ার যে একমুখী উড়ালপুল রয়েছে সেখানে সুকান্তনগরের দিকে একেবারে শেষ প্রান্তের রাস্তায় ধস নজরে আসে। রাস্তায় মাঝে দেখা যায় একাধিক বড় গর্ত। আর তারই জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গাড়ির চালকেরা। আর এই যানজটের জেরে ফেঁসে গন্তব্যে পৌঁছতে বিলম্বও হয় নিত্যযাত্রীদের।
বিধাননগর ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিভাবে অনুমান, গড়িয়া-বিমানবন্দর রুটের মেট্রো প্রকল্পের কাজের জন্য যে পিলার বসানো হচ্ছে, তার জেরেই এই ধসের সৃষ্টি হয়েছে। কেএমডিএ এবং রেল বিকাশ নিগম এই বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে দেখছে।
এদিকে এই এলাকায় দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য যান চলাচল করে। এই গর্তের উপর দিয়ে ক্রমাগত গাড়ি যেতে থাকলে ফাটল আরও বড় হবে বলে আশঙ্কা স্থানীয় বাসিন্দা থেকে গাড়ির চালকদের। কারণ, এই গর্তের ওপর দিয়ে গাড়ি গেলে আরও বড় ফাটল দেখা দয়ি একেবারে ধস নামতে পারেই বলে আশঙ্কা তাঁদের। আর তার জেরেই যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটাও অস্বাভাবিক নয়। আর সেই কারণে দ্রুত এই রাস্তা সারানো হোক বলে দাবি বাস চালকদের।
ফলে অফিস টাইমে চাপ পড়ে ই এম বাইপাস, মা ফ্লাইওভার, এজেসি বোস রোড ফ্লাইওভারেও। শিয়ালদা ফ্লাইওভার, মৌলালি ক্রসিং, এসএন ব্যানার্জি রোডেও দীর্ঘক্ষণ ট্রাফিক সিগন্যালে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। যদিও এই মুহূর্তে স্কুল-কলেজ সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কিছুটা হলেও যান চলাচল অন্যদিনের তুলনায় কম বলে খবর মেলে লালবাজার ট্রাফিক সূত্রে।
এদিকে প্রবল গরমেযানজটে ফেঁসে নাকাল যাত্রীরা। এদিকে বিধাননগর ট্রাফিক পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, দ্রুত এই রাস্তা মেরামত করে ফের যান চলাচল মসৃণ করা হয়েছে এই ঘটনার কিছু পরেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − 2 =